Thursday, June 23, 2022

 

থার্স্টোনের দলগত উপাদান তত্ত্ব আলোচনা করো।Thurstone's Multiple Factor Theory .

Multiple Factor Theory : Thurstone

 দলগত উপাদান তত্ত্ব : থার্স্টোন 


মনোবিজ্ঞানী স্পিয়ারম্যান বলেন, যে কোনো বৌদ্ধিক কাজে দুই ধরনের মানসিক ক্ষমতার প্রয়োজন হয়। যথা: একটি সাধারণ মানসিক উপাদান বা G উপাদান এবং অন্যটি বিশেষ মানসিক ক্ষমতা বা S উপাদান ।

            ঠিক তেমনই মার্কিন মনোবিজ্ঞানী L.L.Thurstone বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর তিনি বলেন , বুদ্ধি সাতটি প্রাথমিক মানসিক উপাদান দ্বারা গঠিত । এই উপাদানগুলি মৌলিক ও পরস্পর নিরপেক্ষ। এদের একত্রে  থার্স্টোনের " দলগত উপাদান তত্ত্ব " বলা হয়। এই সাতটি প্রাথমিক মানসিক উপাদানগুলি হল - 


1. সংখ্যাগত উপাদান ( N ) : দ্রুত এবং সঠিকভাবে সংখ্যা ব্যবহারের ক্ষমতা ।

2. বাচনিক উপাদান ( V ) : ভাষা বোঝা ও সঠিক সাবলীলভাবে ভাষা ব্যবহারের ক্ষমতা ।

3. স্থান - প্রত্যক্ষণের ক্ষমতা ( S ) : সঠিক স্থান সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতা অর্জন ।

4. স্মৃতি ( M ) : দ্রুত মুখস্থ করা এবং প্রয়োজনমত তা মনে করা বা চেনার ক্ষমতা ।

5. যুক্তি নির্ণয়ের ক্ষমতা ( R ) : কোনো কাজের সাথে নিয়ম - নীতি বা সূত্র আবিষ্কার করা ও কাজ সম্পন্ন করার ক্ষমতা ।

6. শব্দ ব্যবহারের ক্ষমতা ( W ) : দ্রুত এবং সঠিকভাবে উপযুক্ত শব্দ ব্যবহারের ক্ষমতা।

7. প্রত্যক্ষনের উপাদান ( P ) : দ্রুত এবং সঠিকভাবে সামগ্রিক পরিস্থিতি প্ৰত্যক্ষণের ক্ষমতা ।

            কোনো বৌদ্ধিক কাজে যত বেশি পরিমাণে প্রাথমিক মানসিক উপাদান থাকবে সেই কাজটি তত তাৎপর্যপূর্ণ হবে। এক বা একাধিক মানসিক উপাদানগুলি দ্বারা কোনো কাজ সম্পন্ন করা হয় তাই একে " দলগত উপাদান তত্ত্ব " বলা হয়। 

 চিত্রসহ থার্স্টোনের দলগত উপাদান তত্ত্ব ব্যাখ্যা : 

থার্স্টোনের দলগত উপাদান তত্ত্ব  চিত্র


থার্স্টোনের দলগত উপাদান তত্ত্বটিকে উপরের চিত্রে রূপ দেওয়া যায় - 

               ক , খ , গ তিনটি বৌদ্ধিক কাজ। 

ক কাজে প্রয়োজন হয় সংখ্যাগত উপাদান ( N ) ,  স্থান - প্রত্যক্ষণের ক্ষমতা ( S ) , প্রত্যক্ষনের উপাদান ( P )।

খ কাজে প্রয়োজন হয় বাচনিক উপাদান ( V ) , প্রত্যক্ষনের উপাদান ( P ) , যুক্তি নির্ণয়ের ক্ষমতা ( R ) , স্মৃতি ( M ) ।

গ কাজে প্রয়োজন হয় 3. স্থান - প্রত্যক্ষণের ক্ষমতা ( S ) ,  শব্দ ব্যবহারের ক্ষমতা ( W ) ।

          এখানে এই তিনটি বৌদ্ধিক কাজের মধ্যে যে কাজটিতে সব থেকে বেশি বৌদ্ধিক উপাদানের ব্যবহার করা হয়েছে, সেটা ততবেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের মধ্যে ততবেশি সহ সম্পর্ক থাকবে ।

বুদ্ধির সংজ্ঞা দাও। সাধারণ মানসিক ক্ষমতা ও বিশেষ মানসিক ক্ষমতার পার্থক্যগুলি লেখো।

 

বুদ্ধির সংজ্ঞা

স্টার্নের মতে, বুদ্ধি হল জীবনের নতুন সমস্যাবলি এবং পরিস্থিতিসমূহের সঙ্গে অভিযােজন করার ক্ষমতা।

প্যাটারসনের মতে, যে জৈবিক কৌশলের সহায়তায় কোনাে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে সমন্বয়সাধন করে একক প্রতিক্রিয়া করা যায় তাই হল বুদ্ধি।

সাধারণ ও বিশেষ মানসিক ক্ষমতার মধ্যে পার্থক্য


চার্লস স্পিয়ারম্যান বৌদ্ধিক কাজ করার ক্ষেত্রে দু-ধরনের মানসিক ক্ষমতা যথাক্রমে G ও S উপাদানের কথা বলেন। বিশেষ উপাদান হল অর্জিত ও শিক্ষাসাপেক্ষ, তবে সাধারণ উপাদান সর্বজনীন। নীচে এই দুটি উপাদানের পার্থক্য ব্যাখ্যা করা হল—

সাধারণ মানসিক ক্ষমতা

  • এই মানসিক উপাদানের সাহায্যে মানুষ সমস্ত বৌদ্ধিক কর্মসম্পাদন করতে পারে। এটি পরিবেশের সঙ্গে সংগতি বজায় রাখে।
  • সাধারণ মানসিক ক্ষমতা বা বুদ্ধি সাধারণধর্মী।
  • সাধারণ মানসিক ক্ষমতা একক ক্ষমতা, এটি সকল প্রকার কাজে অপরিহার্য।
  • সাধারণ মানসিক ক্ষমতা জন্মগত।
  • সাধারণ মানসিক ক্ষমতা পরিমাপের জন্য বুদ্ধি অভীক্ষা ব্যবহৃত হয়। এর সূচক হল বুদ্ধ্যঙ্ক।
  • সাধারণ মানসিক ক্ষমতা একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত বিকাশলাভ করে।
  • সাধারণ মানসিক ক্ষমতার পরিমাণ কর্মভেদে পরিবর্তনশীল।।
  • সাধারণ মানসিক ক্ষমতা সর্বজনীন।
  • সাধারণ মানসিক ক্ষমতা মানুষের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে। বণ্টন হয়।
  • সাধারণ মানসিক ক্ষমতা অনুশীলনসাপেক্ষ নয়।
  • সাধারণ মানসিক ক্ষমতা কর্মনিপুণ বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি তৈরি করতে পারে না।
  • সাধারণ মানসিক উপাদান পূর্বের অভিজ্ঞতা বা বিভিন্ন কর্মে সঞ্চালনের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়।

বিশেষ মানসিক ক্ষমতা

  • এই মানসিক উপাদান বিশেষ বিশেষ বৌদ্ধিক কাজে ব্যবহৃত হয়।
  • বিশেষ মানসিক ক্ষমতা বিশেষধর্মী।
  • বিশেষ মানসিক ক্ষমতা সংখ্যায় বহু।
  • বিশেষ মানসিক ক্ষমতা কিছুটা জন্মগত, কিছুটা অর্জিত।
  • বিশেষ মানসিক ক্ষমতা পরিমাপের জন্য প্রবণতা অভীক্ষা ব্যবহৃত হয় এটি সূচকহীন।
  • বিশেষ মানসিক ক্ষমতার ক্ষেত্রে বয়সের সীমারেখা নেই।
  • বিশেষ মানসিক ক্ষমতায় কর্মভেদে প্রকৃতিগত পরিবর্তন ঘটে।
  • বিশেষ মানসিক ক্ষমতা সর্বজনীন নয়।
  • বিশেষ মানসিক ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবে বণ্টন হয় না।
  • বিশেষ মানসিক ক্ষমতা অনুশীলনসাপেক্ষ।
  • বিশেষ মানসিক ক্ষমতা সাধারণ মানসিক ক্ষমতার সহায়তায় কর্মনিপুণ বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি তৈরি করতে পারে।
  • বিশেষ মানসিক ক্ষমতা পূর্বের অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে সঞ্চালনে খুব কম ব্যবহৃত হয়।

উপরােক্ত আলােচনা থেকে বােঝা যায়, উভয় প্রকার মানসিক ক্ষমতা বৌদ্ধিক কাজ করতে সক্ষম। তবে এই দু-ধরনের মানসিক ক্ষমতা একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রােতভাবে সম্পর্কিত। তবে সাধারণ মানসিক ক্ষমতা যার যত বেশি তার বৌদ্ধিক কাজ করার ক্ষমতাও তত বেশি। এই দু-ধরনের মানসিক ক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম।

থর্নডাইকের মতে শিখনের সূত্র গুলি কয় প্রকার ও কি কি ? থর্নডাইকের শিখনের সূত্র শিক্ষাগত তাৎপর্য লেখ।

 

 Laws of learning : Thorndike. Educational implications of Thorndike's Theory of learning.

 Laws of Learning : Thorndike 

শিখনের সূত্রাবলী : থর্নডাইক 


মনোবিজ্ঞানী থর্নডাইক তার শিখন কৌশল এর পদ্ধতি নিয়ে গবেষণার ভিত্তিতে কতগুলি সূত্র আবিষ্কার করেছেন । তাদেরকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা হয় । যথা : 

A.  প্রধান সূত্র বা মুখ্য সূত্র।

B.  অপ্রধান সূত্র বা গৌণ সূত্র । 

 

 থর্নডাইকের শিখনের সূত্রাবলী 

শিখন সম্পর্কিত থর্নডাইকের মুখ্য বা প্রধান সূত্রাবলী 


থর্নডাইকের শিখন সংক্রান্ত প্রধান সূত্র বা মুখ্য সূত্রগুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় । যথা - 
1. প্রস্তুতির সূত্র (Law of Preparation). 
2. অনুশীলনের সূত্র (Law of Experience). 
3. ফললাভের সূত্র (Law of Effect). 

                      নিম্নে এদের সম্পর্কে আলোচনা করা হল - 

1. প্রস্তুতির সূত্র (Law of Preparation) :

থর্নডাইকের প্রস্তুতির সূত্রে বলা হয়েছে, "প্রাণী যখন উদ্দীপক ও প্রক্রিয়ার মধ্যে সংযোগ তৈরি করার জন্য প্রস্তুত হয়, তখন সংযোগ ঘটালেন সে তৃপ্ত হয় এবং না ঘটলে বিরক্ত হয়। অন্যদিকে, যখন সংযোগ তৈরীর জন্য প্রস্তুত নয়, তখন সংযোগ ঘটলে সে বিরক্ত হয়।" 
2. অনুশীলনের সূত্র (Law of Experience) : 

                                         থর্নডাইকের  অনুশীলনের সূত্র দুটি অংশ। যথা - 
      i. ব্যবহারের সূত্র (Law of Use) : 

অন্য সব অবস্থা ঠিক রেখে একই উদ্দীপক এবং একই প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে যদি বারবার সংযোগ করা হয় , অর্থাৎ অনুশীলন করা হয় , তাহলে সংযোগটি দৃঢ় হয়, এটি ব্যবহারের সূত্র(Law of Use)। 

      ii. অব্যবহারের সূত্র (Law of Disuse) : 

যদি বহুদিন একই উদ্দীপক এবং প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন না হয়, অর্থাৎ যদি অনুশীলন বন্ধ হয়ে যায় , তবে সংযোগ শিথিল হবে বা দুর্বল হয়ে পড়ে, এটাই থর্নডাইকের  অব্যবহারের সূত্র (Law of Disuse) । 

 3. ফললাভের সূত্র (Law of Effect) :

থর্নডাইকের ফললাভের সূত্রে বলা হয়েছে , একটি উদ্দীপক ও তার প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংশোধনযোগ্য সংযোগ স্থাপিত হলে, সেই সংযোগের ফলে যদি প্রানীর কাছে তৃপ্তিদায়ক হয় , তবে সেই সংযোগ শক্তিশালী হয় , আর যদি সংযোগকারী প্রাণীর কাছে বিরক্তিকর হয় তবে সেই সুযোগ দুর্বল হয়ে পড়ে , এটাই ফললাভের সূত্র (Law of Effect)। 

B.  অপ্রধান সূত্র বা গৌণ সূত্র :

                    শিখন সম্পর্কিত থর্নডাইকের অপ্রধান বা গৌণ সূত্র গুলি হল - 

1. বহুমুখী প্রতিক্রিয়ার সূত্র :   

উদ্দীপক ও প্রক্রিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের পূর্বে প্রাণী বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া বা প্রচেষ্টা করে থাকে । এর মধ্যে থেকে নির্ভুল প্রতিক্রিয়াকে বেছে নেওয়াই হল শিখন। বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া করার ক্ষমতা যার যত বেশি হবে ততই তার শিখনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। 

2. মানসিক অবস্থার সূত্র :

 শিখনের জন্য চাই মানসিক প্রস্তুতি । অর্থাৎ যেকোন কাজ করার ক্ষেত্রে চাই  ইতিবাচক মানসিক অবস্থা ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন। 

3. আংশিক প্রতিক্রিয়ার সূত্র : 

শিখনের জন্য সামগ্রিক অবস্থা বা সমগ্র অংশকে ছোটো ছোটো অংশে বিভক্ত করে, প্রতিটি অংশের প্রতি বিশেষ প্রতিক্রিয়া করেই শিখন প্রক্রিয়া সম্ভব হয় । 
4. সাদৃশ্যের সূত্র : 

নতুন কোনো অবস্থার সম্মুখীন হলে আমরা পূর্বের কোনো অবস্থার সঙ্গে নতুন অবস্থার মিল খুঁজে বের করার চেষ্টা করি, অর্থাৎ সাদৃশ্য খোঁজার চেষ্টা করি এবং সেই ভাবেই প্রতিক্রিয়া করি। 
5. অনুষঙ্গমূলক সঞ্চালনের নীতি : 

মূল উদ্দীপক যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে , মূল উদ্দীপকের সঙ্গে যুক্ত গৌণ উদ্দীপকগুলিও সেই একই প্রতিক্রিয়া ঘটায়।
যেমন : তেতুঁল খেলে জিভে জল আসে, পরবর্তীতে তেতুঁল দেখলেই জিভে জল চলে আসে। 


 EDUCATIONAL IMPLICATIONS OF THORNDIKE'S THEORY OF LEARNING 

থর্নডাইকের শিখন সূত্রের শিক্ষাগত তাৎপর্য 

শিক্ষাক্ষেত্রের থর্নডাইকের সূত্রগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । নিম্নে থর্নডাইকের সূত্রের শিক্ষাগত তাৎপর্য উল্লেখ করা হল - 
A. প্রস্তুতির সূত্রের শিক্ষাগত তাৎপর্য : 

i. দৈহিক প্রতিক্রিয়ার জন্য যে প্রস্তুতির প্রয়োজন , সেটি পুরোপুরি পরিণমনের ওপর নির্ভর করে। 
ii. শিক্ষক/শিক্ষিকা পড়ানোর আগে শিক্ষার্থীদের দৈহিক ও মানসিক প্রস্তুতির ওপর গুরুত্ব দেবেন। 
iii. শিক্ষার্থীর দৈহিক ও মানসিক পরিণমন সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরে শিক্ষক মহাশয় শিক্ষাদান করবেন।
B. অনুশীলনের সূত্রের শিক্ষাগত তাৎপর্য : 

    i. শিক্ষার্থীদের প্রচুর সুযোগ দিতে হবে যাতে তারা অর্জিত জ্ঞানকে পুনরাবৃত্তি করতে পারে ।
  ii. পুরনো বিষয় বারবার অনুশীলন বা প্র্যাকটিস করতে হবে নইলে শিখন দুর্বল হয়ে পড়বে।
  iii. বর্ণমালা , নামতা , সূত্র ইত্যাদি শিখনের সময় অনুশীলনের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। 
  iv. নিম্নশ্রেণির গুলিতে অনুশীলন সূত্রের ওপর ব্যাপকভাবে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
C. ফল লাভের সূত্রের শিক্ষাগত তাৎপর্য : 

   i. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষণ পদ্ধতি অবশ্যই শিক্ষার্থীর কাছে সুখকর ও তৃপ্তিদায়ক হতে হবে।
  ii. শ্রেণি শিক্ষন শিক্ষার্থীর কাছে অবশ্যই বোধগম্য এবং তৃপ্তিদায়ক হবে। 
  iii. পাঠ্য বিষয় যেন শিক্ষার্থীর দৈহিক ও মানসিক ক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। 
  iv. শ্রেণিকক্ষের পাঠ্য বিষয়বস্তু অবশ্যই শিক্ষার্থীর দৈনন্দিন জীবনের সাথে মিল রেখে অর্থাৎ বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে হবে, তবেই শিখন প্রক্রিয়া অর্থপূর্ণ হয় এবং শিখন সুখদায়ক হয়। 
  v. শিখন প্রক্রিয়া অবশ্যই সবথেকে কঠিন এর নিয়ম অনুসারে হবে।
D. বহুমুখী প্রতিক্রিয়ার সূত্রের শিক্ষাগত তাৎপর্য : 
i. শিক্ষার্থী যাতে বহুমুখী চিন্তা করতে পারে সে ব্যাপারে শিক্ষক-শিক্ষিকার সাহায্য করা উচিত। 
ii. শিক্ষার্থীকে বহুমুখী চিন্তনের ও ভুল প্রচেষ্টার সুযোগ দিতে হবে। 
E. মানসিক অবস্থার সূত্রের শিক্ষাগত তাৎপর্য : 

i. শিক্ষক/শিক্ষিকাদের সহযোগিতা শিক্ষার্থীর বিদ্যালয় ও শ্রেণিকক্ষের প্রতি ধনাত্মক মনোভাব এবং উপযুক্ত মানসিক অবস্থার সৃষ্টিতে সাহায্য করে। 
ii. প্রাক্ষোভিক নিরাপত্তা শিক্ষার্থীর মানসিক অবস্থাকে উপযুক্তভাবে তৈরি করে । 
F. আংশিক প্রতিক্রিয়া সূত্রের শিক্ষাগত তাৎপর্য : 
 কোন বিষয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কি সংক্ষেপে ছোট ছোট অংশের এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি শিক্ষার্থীর দৃষ্টি আকর্ষণ করানো উচিত তাহলে শিখন প্রক্রিয়া সহজ হবে। 
G. সাদৃশ্যের সূত্রের শিক্ষাগত তাৎপর্য : 

i. শিক্ষার্থী যখন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করবে তখন শিক্ষকের উচিত পুরাতন বিষয়গুলি সম্পর্কে সাদৃশ্য খুঁজে বের করা এবং শিক্ষার্থীদের তা দেখানো।
ii. শিক্ষার্থীকে জানা থেকে অজানা জ্নের দিকে নিয়ে যেতে হবে ।
iii. শিক্ষার্থীর জীবনের সঙ্গে পাঠ্যবিষয়ের কোন অবস্থার যদি মিল থাকে , তবে অবশ্যই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উচিত সেটিকে ব্যাখ্যা করা। 
I. অনুষঙ্গমূলক সঞ্চালন সূত্রের শিক্ষাগত তাৎপর্য : 

i. শিশুরা যে সমস্ত অভ্যাস , মনোভাব , আগ্রহ ইত্যাদি অর্জন করে সেগুলো যেন তারা বড় হয়ে প্রয়োগ করতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে । 
ii. শিক্ষক-শিক্ষিকার দায়িত্ব হল শিক্ষার্থীদের এমন অভ্যাস বা মনোভাব গঠনে সাহায্য করা যা তারা ভবিষ্যতে প্রয়োগ করতে পারবে। 
           সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে পারি যে, শিক্ষাক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞানী থর্নডাইকের শিখনের সূত্র গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং শিক্ষার্থীর শিখনে গুরুত্বপূর্ণ। শিখন এর উপযুক্ত সূত্রগুলি দ্বারা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষণ শিখন প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে হবে এবং শিক্ষার্থী পাঠ্য বিষয়বস্তু কে শিক্ষার্থীর বোধগম্যতার স্তরে পৌঁছাতে সাহায্য করা।