Inversion of Temperation
Definition:- সাধারণত ভূ-পৃষ্ঠ থেকে যত উপরে ওঠা যায়, একটি নির্দিষ্ট হারে উষ্ণতা হ্রাস পেতে থাকে একে Normal lapse rate বা স্বাভাবিক তাপমাত্রা হ্রাস বলে।
কিন্তু কখনও কখনও বায়ুমণ্ডলের বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উষ্ণতা হ্রাসের পরিবর্তে বৃদ্ধি পায় এঘকে Inversion of temperature বা বৈপরীত্য উষ্ণতা বলে ।
Favorable condition for development of inversion of temperature(বৈপরীত্য উষ্ণতার অনুকূল অবস্থা):-
1.সুদীর্ঘ রাত্রি:- দিন অপেক্ষা রাত্রি দীর্ঘ হলে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে সঞ্চিত তাপ সম্পূর্ণ বিকিরিত হয়ে থাকে বলে ভূ-পৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ু অতিরিক্ত শীতল হয়ে যায়। ফলে বৈপরীত্য উত্তাপের সৃষ্টি হয়।
2.মেঘমুক্ত আকাশ:- মেঘমুক্ত আকাশ থাকলে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপ কোনো বাধা না পেয়ে সরাসরি মহাশূন্যে চলে যায় । ফলে উত্তাপের অভাবে ভূ-পৃষ্ঠের নিকটবর্তী অঞ্চলের বায়ু শীতল হয়ে উষ্ণতার বৈপরীত্য ঘটায়।
3.শুষ্ক বায়ু:-সাধারণত শীতকালে বায়ু শুষ্ক থাকে এবং জলীয় বাষ্প কম থাকার জন্য ভূ-পৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপ বায়ুমণ্ডল শোষণ করতে পারে না এবং তাপ মহাশূন্যে সরাসরি চলে যায়।ফলে ভূ-পৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তর শীতল হয়ে উষ্ণতার বৈপরীত্য সৃষ্টি করে।
4.শান্ত আবহাওয়া:-আবহাওয়া শান্ত থাকলে উপরের এবং নিচের বায়ুস্তরে মিশ্রণ কম হয় বলে নিচের বায়ু ভূ-পৃষ্ঠের সংস্পর্শে শীতল হয়ে উষ্ণতা র বৈপরীত্য সৃষ্টি করে।
5. বরফাবৃত ভূ-পৃষ্ঠ:- বরফ কুপরিবাহী বলে দিনেরবেলায় অতি অল্প সূর্যরশ্মি শোষণ করতে পারে। রাত্রিকালে খুব দ্রুত শোষিত সূর্যরশ্মি বিকিরিত হয়ে যায়। ফলে বৈপরিত্য উত্তাপের সৃষ্টি হয়।
6.ভূ-প্রকৃতি:-পার্বত্য অঞ্চলে বিশেষতঃ রাত্রিতে তাপ বিকিরণের ফলে পর্বতের ঊর্ধ্বভাগের বায়ু অতিরিক্ত শীতল ও ভারী হয়ে পর্বতের গাত্র বেয়ে ধীরে ধীরে সংলগ্ন উপত্যকায় নেমে আসে। এই ঘটনাকে air drainage বলে। এর ফলে পর্বতের উপত্যকা সংলগ্ন অঞ্চল ক্রমশ্য শীতল হয় এবং পর্বতের উপরিভাগের বায়ু অপেক্ষাকৃত উষ্ণ থাকে। এভাবে বৈপরিত্য উত্তাপের সৃষ্টি হয়।
Classification of Inversion Temperature:- বৈপরিত্য উত্তাপের শ্রেণীবিভাগগুলি হল নিম্নলিখিত-
১.Ground inversion
২.Upper air inversion
৩.Frontal inversion
১.Ground air in version:-এই প্রকার উষ্ণতার বৈপরিত্য প্রধাণত বিকিরণ প্রক্রিয়ায় ঘটে। শীতকালে দীর্ঘ রাত্রি ও উচ্চ অক্ষাংশের বরফাবৃত অঞ্চলে এটি বিশেষভাবে দেখা যায়। এই বৈপরিত্য উষ্ণতাকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা-
(a)Radiation Inversion:- শীতকালীন রাত্রে স্থলভাগ দ্রুত তাপ বিকিরণ করার দরুণ, ভূ-পৃষ্ঠ বায়ুমণ্ডল অপেক্ষা দ্রুত শীতল হয়। ফলে দ্রুত শীতলতা প্রাপ্ত ভূ-পৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তর উপরের স্তরের চেয়ে শৈত্য সংস্পর্শে শীতলতর হয় । একে বলে বিকিরনজনিত বৈপরিত্য।
(b)Advection Inversion:- সাধারণত শীতকালে শীতল অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত শীতল বায়ু উষ্ণ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে ভূ-পৃষ্ঠের বায়ুস্তরকে শীতল করে। এর ফলে যে বৈপরীত্য উত্তাপের সৃষ্টি হয় তাকে আগ্রাসনজনিত বৈপরিত্য বলা হয়।
২.Upper air inversion:- বায়ুমণ্ডলের অধিক উচ্চতায় সাধারণত এই ধরনের বৈপরিত্য উত্তাপ দেখা যায়। এই বৈপরিত্য উত্তাপকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় যেমন-
(a)Subsidence inversion:- ভূ-পৃষ্ঠ থেকে অধিক উচ্চতায় যখন একটি ঘন, শুষ্ক, বায়ুপ্রবাহ নিম্নদিকে নেমে আসে তখন সংকোচন বা বায়ুচাপ বৃদ্ধির ফলে ওই বায়ুপ্রবাহ প্রতি কিলোমিটারে প্রায় 10℃ হারে উত্তপ্ত হয় । ফলে নিম্নস্থিত শীতল বায়ুস্তরের ওপর একটি উষ্ণ বায়ুস্তরের উৎপত্তি হয়ে যে বৈপরিত্য উত্তাপ সৃষ্টি হয় তাকে অবনমন জনিত বৈপরিত্য উত্তাপ বলে ।
(b) Turbulence and convective inversion:- সাধারণত বায়ুর পরিচলনগতি এবং অস্থিরতার কারণে বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরের উষ্ণবায়ু এবং শীতল বায়ুর সঙ্গে মিশ্রণের ফলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে যে বৈপরিত্য উত্তাপের সৃষ্টি করে তাকে অস্থিরতা ও পরিচলন প্রক্রিয়া জনিত বৈপরীত্য উত্তাপ বলে।
Definition:- সাধারণত ভূ-পৃষ্ঠ থেকে যত উপরে ওঠা যায়, একটি নির্দিষ্ট হারে উষ্ণতা হ্রাস পেতে থাকে একে Normal lapse rate বা স্বাভাবিক তাপমাত্রা হ্রাস বলে।
কিন্তু কখনও কখনও বায়ুমণ্ডলের বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উষ্ণতা হ্রাসের পরিবর্তে বৃদ্ধি পায় এঘকে Inversion of temperature বা বৈপরীত্য উষ্ণতা বলে ।
Favorable condition for development of inversion of temperature(বৈপরীত্য উষ্ণতার অনুকূল অবস্থা):-
1.সুদীর্ঘ রাত্রি:- দিন অপেক্ষা রাত্রি দীর্ঘ হলে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে সঞ্চিত তাপ সম্পূর্ণ বিকিরিত হয়ে থাকে বলে ভূ-পৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ু অতিরিক্ত শীতল হয়ে যায়। ফলে বৈপরীত্য উত্তাপের সৃষ্টি হয়।
2.মেঘমুক্ত আকাশ:- মেঘমুক্ত আকাশ থাকলে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপ কোনো বাধা না পেয়ে সরাসরি মহাশূন্যে চলে যায় । ফলে উত্তাপের অভাবে ভূ-পৃষ্ঠের নিকটবর্তী অঞ্চলের বায়ু শীতল হয়ে উষ্ণতার বৈপরীত্য ঘটায়।
3.শুষ্ক বায়ু:-সাধারণত শীতকালে বায়ু শুষ্ক থাকে এবং জলীয় বাষ্প কম থাকার জন্য ভূ-পৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপ বায়ুমণ্ডল শোষণ করতে পারে না এবং তাপ মহাশূন্যে সরাসরি চলে যায়।ফলে ভূ-পৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তর শীতল হয়ে উষ্ণতার বৈপরীত্য সৃষ্টি করে।
4.শান্ত আবহাওয়া:-আবহাওয়া শান্ত থাকলে উপরের এবং নিচের বায়ুস্তরে মিশ্রণ কম হয় বলে নিচের বায়ু ভূ-পৃষ্ঠের সংস্পর্শে শীতল হয়ে উষ্ণতা র বৈপরীত্য সৃষ্টি করে।
5. বরফাবৃত ভূ-পৃষ্ঠ:- বরফ কুপরিবাহী বলে দিনেরবেলায় অতি অল্প সূর্যরশ্মি শোষণ করতে পারে। রাত্রিকালে খুব দ্রুত শোষিত সূর্যরশ্মি বিকিরিত হয়ে যায়। ফলে বৈপরিত্য উত্তাপের সৃষ্টি হয়।
6.ভূ-প্রকৃতি:-পার্বত্য অঞ্চলে বিশেষতঃ রাত্রিতে তাপ বিকিরণের ফলে পর্বতের ঊর্ধ্বভাগের বায়ু অতিরিক্ত শীতল ও ভারী হয়ে পর্বতের গাত্র বেয়ে ধীরে ধীরে সংলগ্ন উপত্যকায় নেমে আসে। এই ঘটনাকে air drainage বলে। এর ফলে পর্বতের উপত্যকা সংলগ্ন অঞ্চল ক্রমশ্য শীতল হয় এবং পর্বতের উপরিভাগের বায়ু অপেক্ষাকৃত উষ্ণ থাকে। এভাবে বৈপরিত্য উত্তাপের সৃষ্টি হয়।
Classification of Inversion Temperature:- বৈপরিত্য উত্তাপের শ্রেণীবিভাগগুলি হল নিম্নলিখিত-
১.Ground inversion
২.Upper air inversion
৩.Frontal inversion
১.Ground air in version:-এই প্রকার উষ্ণতার বৈপরিত্য প্রধাণত বিকিরণ প্রক্রিয়ায় ঘটে। শীতকালে দীর্ঘ রাত্রি ও উচ্চ অক্ষাংশের বরফাবৃত অঞ্চলে এটি বিশেষভাবে দেখা যায়। এই বৈপরিত্য উষ্ণতাকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা-
(a)Radiation Inversion:- শীতকালীন রাত্রে স্থলভাগ দ্রুত তাপ বিকিরণ করার দরুণ, ভূ-পৃষ্ঠ বায়ুমণ্ডল অপেক্ষা দ্রুত শীতল হয়। ফলে দ্রুত শীতলতা প্রাপ্ত ভূ-পৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তর উপরের স্তরের চেয়ে শৈত্য সংস্পর্শে শীতলতর হয় । একে বলে বিকিরনজনিত বৈপরিত্য।
(b)Advection Inversion:- সাধারণত শীতকালে শীতল অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত শীতল বায়ু উষ্ণ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে ভূ-পৃষ্ঠের বায়ুস্তরকে শীতল করে। এর ফলে যে বৈপরীত্য উত্তাপের সৃষ্টি হয় তাকে আগ্রাসনজনিত বৈপরিত্য বলা হয়।
২.Upper air inversion:- বায়ুমণ্ডলের অধিক উচ্চতায় সাধারণত এই ধরনের বৈপরিত্য উত্তাপ দেখা যায়। এই বৈপরিত্য উত্তাপকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় যেমন-
(a)Subsidence inversion:- ভূ-পৃষ্ঠ থেকে অধিক উচ্চতায় যখন একটি ঘন, শুষ্ক, বায়ুপ্রবাহ নিম্নদিকে নেমে আসে তখন সংকোচন বা বায়ুচাপ বৃদ্ধির ফলে ওই বায়ুপ্রবাহ প্রতি কিলোমিটারে প্রায় 10℃ হারে উত্তপ্ত হয় । ফলে নিম্নস্থিত শীতল বায়ুস্তরের ওপর একটি উষ্ণ বায়ুস্তরের উৎপত্তি হয়ে যে বৈপরিত্য উত্তাপ সৃষ্টি হয় তাকে অবনমন জনিত বৈপরিত্য উত্তাপ বলে ।
(b) Turbulence and convective inversion:- সাধারণত বায়ুর পরিচলনগতি এবং অস্থিরতার কারণে বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরের উষ্ণবায়ু এবং শীতল বায়ুর সঙ্গে মিশ্রণের ফলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে যে বৈপরিত্য উত্তাপের সৃষ্টি করে তাকে অস্থিরতা ও পরিচলন প্রক্রিয়া জনিত বৈপরীত্য উত্তাপ বলে।
13 comments:
Very good sir
I like the answer
It is very good for a student
I like it
This is a perfect and nice answer for interested students
Thank you
ধন্যবাদ
Hm
Thank you Sir
ধন্যবাদ
Thank you dir
খুব ভালো লাগলো
Tysm sir
Very good answer sir
Post a Comment