

Characteristic:-

2.মৌসুমী বায়ু সমুদ্র থেকে যতই স্থলভাগের দিকে প্রবেশ করে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ততই কমে।
3.প্রতি বছর মৌসুমি বায়ুর পরিবর্তন ঘটে।
4.গ্রীষ্মকালে মৌসুমী বায়ু যেদিকে প্রবাহিত হয় শীতকালে তার বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়।
5.মৌসুমী বায়ুর প্রত্যাবর্তন আগমনের থেকে অনেক ধীরে সংগটিত হয়।
6.মৌসুমী বায়ুতে একটানা বৃষ্টিপাত হয় না মাঝে মাঝে সাময়িক বিরতি ঘটে।
7. মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে গ্রীষ্মকাল আর্দ্র ও শীতকাল শুষ্ক।
8. মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন তাপমাত্রার ব্যবধান থাকে প্রায় 20℃।
Mechanism of Monsoon:- মৌসুমী বায়ুর উৎপত্তিকে কেন্দ্র করে যে বিভিন্ন মতবাদের উৎপত্তি হয়েছে সেগুলি হল নিম্নলিখিত।
1. সাধারন ধারণা:- স্হলভাগ ও জলভাগের মধ্যে তাপগ্রাহিতার তারতম্যের কারণেই এই বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর ব্যপক সংরস্কারকেই মৌসুমী বায়ু বলে মনে করা হয়।
গ্রীষ্মকালে উত্তর গোলার্ধে কর্কটক্রান্তি অঞ্চলে অধিক উত্তপ্ত হয় এবং দক্ষিণে মকরক্রান্তি অঞ্চলে সূর্য তির্যকভাবে পতিত হওয়ায় উত্তাপ কম পায় ও উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়। এই উচ্চচাপের বায়ু নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ে আকর্ষণ করে ফেরলের সূত্রানুসারে ডানদিকে বেঁকে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবেশ করে। সমুদ্রের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে এই বায়ু প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প বহন করে আনে।

বায়ুচাপ ও উষ্ণতার তারতম্যে বায়ুমণ্ডলের ঊর্ধ্বে ও নিম্নে বায়ুপ্রবাহের বৈপরীত্য মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের উৎপত্তির কারণ হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি উপস্থাপিত হয়।

কিন্তু এই তত্বের বিপক্ষে বলা হয় যে, মৌসুমী বায়ুর উৎপত্তি উক্ত অঞ্চলে হলে এত স্বল্প দৈর্ঘ্যের প্রবাহপথে এত অধিক জলীয় বাষ্প এই বায়ুপ্রবাহ গ্রহণ করতে পারে না।
4.থার্মাল ইঞ্জিন তত্ত্ব:-এই তত্বে মৌসুমী বায়ুর উৎপত্তির কারণ হিসাবে প্রায় 20,000km দীর্ঘ, 600-1000km বিস্তৃত এবং 4km উচ্চ তিব্বতের উচ্চ মালভূমির তাপীয় প্রভাবকে বর্ণনা করা হয়ে থাকে।এই মালভূমি পাশ্ববর্তী অঞ্চল অপেক্ষা 2°-3℃ উষ্ণতর । Dr. P. Koteswaram এবং Prof. H. Flohn বলেন তীব্বত মালভূমি বায়ুমণ্ডলে তাপের একটি উৎস হওয়ায় এই অঞ্চলের বায়ুকে উর্ধ্বমুখী করে ।
ঊর্ধ্বগমন কালে বায়ু দক্ষিণমুখী হয়ে ভারত মহাসাগরীয় নিরক্ষীয় অঞ্চলে নিমজ্জিত হয়। এই সময় নিম্নগামী বায়ু পৃথিবীর আবর্তনের কারণে দক্ষিণে বিক্ষিপ্ত হয় এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রত্যাগমণশীল বায়ু রুপে ভারতে প্রবেশ করে। ভারত মহাসাগরে এর উত্তরাভিমুখী গমনকালে এই বায়ু প্রচুর জলীয় বাষ্প শোষন করে ।
তবে এই যুক্তির বিপক্ষে দুটি মুখ্য প্রশ্ন তোলা হল-
(!)ভারতীয় মৌসুমী বায়ুপ্রবাহ কি তপ্ত উৎসস্থল দ্বারাই পরিচালিত হয়?
(!!)ভারত মহাসাগরের নিরক্ষীয় অঞ্চলে কি বায়ুর নিম্নগমন লক্ষ্য করা যায়?
5.মৌসুমী মেম সংবহন তত্ব:-উপগ্রহ কর্তৃক প্রেরিত মেমের আলোকচিত্রের সাহায্যে বর্তমানে সমুদ্রের উপরে ঝড়ের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে অনুরূপ ঝড়ের লক্ষণ সূচিত হলেও উপগ্রহ মাধ্যমে তা ধরা পড়ে। উপগ্রহ কর্তৃক প্রেরিত আলোকচিত্র প্রমাণ করে যে, মৌসুমী বায়ু যখন ভারতের দিকে অগ্রসর হয়, তখন এটি আরবসাগর ও এডেন উপসাগর থেকে আগত অন্য একটি পশ্চিমা বায়ুর সঙ্গে মিলিত হয়। এটি সম্ভব হতে পারে যে, এ পর্যন্ত যে রেডনের পরিমাপ করা গিয়েছে তা প্রকৃত মৌসুমী বায়ুর কারণ না হয়ে আরবে উৎপন্ন পশ্চিমা বায়ু প্রতিনিধিত্ব করে।
তবে এই যুক্তির বিপক্ষে দুটি মুখ্য প্রশ্ন তোলা হল-
(!)ভারতীয় মৌসুমী বায়ুপ্রবাহ কি তপ্ত উৎসস্থল দ্বারাই পরিচালিত হয়?
(!!)ভারত মহাসাগরের নিরক্ষীয় অঞ্চলে কি বায়ুর নিম্নগমন লক্ষ্য করা যায়?
5.মৌসুমী মেম সংবহন তত্ব:-উপগ্রহ কর্তৃক প্রেরিত মেমের আলোকচিত্রের সাহায্যে বর্তমানে সমুদ্রের উপরে ঝড়ের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে অনুরূপ ঝড়ের লক্ষণ সূচিত হলেও উপগ্রহ মাধ্যমে তা ধরা পড়ে। উপগ্রহ কর্তৃক প্রেরিত আলোকচিত্র প্রমাণ করে যে, মৌসুমী বায়ু যখন ভারতের দিকে অগ্রসর হয়, তখন এটি আরবসাগর ও এডেন উপসাগর থেকে আগত অন্য একটি পশ্চিমা বায়ুর সঙ্গে মিলিত হয়। এটি সম্ভব হতে পারে যে, এ পর্যন্ত যে রেডনের পরিমাপ করা গিয়েছে তা প্রকৃত মৌসুমী বায়ুর কারণ না হয়ে আরবে উৎপন্ন পশ্চিমা বায়ু প্রতিনিধিত্ব করে।
No comments:
Post a Comment