Definition:- মৌসুমী কথাটি এসেছে আরবি শব্দ 'মৌসিম' থেকে যার অর্থ হল 'ঋতু'। অর্থাৎ ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মৌসুমী বায়ুপ্রবাহেরও পরিবর্তন ঘটে। সুতরাং ঋতুভেদে বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য পূর্ণ যে বায়ু প্রবাহিত হয় তাকেই মৌসুমী বায়ু বলে । সমুদ্রবায়ু এবং স্থলবায়ুর ব্যপক সংস্কার হল মৌসুমী বায়ু।
Characteristic:-
1. মৌসুমী বায়ুর স্থিতিকাল 100-120 দিন।
2.মৌসুমী বায়ু সমুদ্র থেকে যতই স্থলভাগের দিকে প্রবেশ করে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ততই কমে।
3.প্রতি বছর মৌসুমি বায়ুর পরিবর্তন ঘটে।
4.গ্রীষ্মকালে মৌসুমী বায়ু যেদিকে প্রবাহিত হয় শীতকালে তার বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়।
5.মৌসুমী বায়ুর প্রত্যাবর্তন আগমনের থেকে অনেক ধীরে সংগটিত হয়।
6.মৌসুমী বায়ুতে একটানা বৃষ্টিপাত হয় না মাঝে মাঝে সাময়িক বিরতি ঘটে।
7. মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে গ্রীষ্মকাল আর্দ্র ও শীতকাল শুষ্ক।
8. মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন তাপমাত্রার ব্যবধান থাকে প্রায় 20℃।
Mechanism of Monsoon:- মৌসুমী বায়ুর উৎপত্তিকে কেন্দ্র করে যে বিভিন্ন মতবাদের উৎপত্তি হয়েছে সেগুলি হল নিম্নলিখিত।
1. সাধারন ধারণা:- স্হলভাগ ও জলভাগের মধ্যে তাপগ্রাহিতার তারতম্যের কারণেই এই বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর ব্যপক সংরস্কারকেই মৌসুমী বায়ু বলে মনে করা হয়।
গ্রীষ্মকালে উত্তর গোলার্ধে কর্কটক্রান্তি অঞ্চলে অধিক উত্তপ্ত হয় এবং দক্ষিণে মকরক্রান্তি অঞ্চলে সূর্য তির্যকভাবে পতিত হওয়ায় উত্তাপ কম পায় ও উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়। এই উচ্চচাপের বায়ু নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ে আকর্ষণ করে ফেরলের সূত্রানুসারে ডানদিকে বেঁকে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবেশ করে। সমুদ্রের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে এই বায়ু প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প বহন করে আনে।
2.জেফ্রিসের তত্ব:- বায়ুর নিম্নস্তরে জলভাগ থেকে স্থলভাগে বায়ুপ্রবাহের কারণ হিসাবে ঊধ্বস্তরে স্থলভাগ থেকে জলভাগের দিকে বায়ুর প্রবাহকে নির্দেশ করা হয়েছে। জেফ্রিস সর্বপ্রথম মৌসুমী বায়ুর উৎপত্তি সম্পর্কে একটি গাণিতিক মতবাদ প্রচলন করেন । তিনি গাণিতিক প্রমাণের সাহায্যে দেখিয়েছেন যে 2.1km ঊর্ধ্বে বায়ুর দিক পরিবর্তন হয় এবং ঊর্ধ্বে উঠলে এই বায়ু পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়।
বায়ুচাপ ও উষ্ণতার তারতম্যে বায়ুমণ্ডলের ঊর্ধ্বে ও নিম্নে বায়ুপ্রবাহের বৈপরীত্য মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের উৎপত্তির কারণ হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি উপস্থাপিত হয়।
3. রেড়ন ধারণা তত্ব:- এই তত্বে তেজস্ক্রিয় বিকিরণকে মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের কারণ হিসাবে বলা হয়েছে। ভূমি হতে প্রতিনিয়ত ইউরেনিয়াম ও থেরিয়াম বিকিরিত হয়ে বায়ুমণ্ডলে মিশছে । স্থলভাগে এই বিকিরণের মাত্রা অধিক।
বায়ুস্তরে উচ্চ রেডন মাত্রা স্থলভাগে এবং নিম্ন রেডন মাত্রা জলভাগে উৎপত্তি হয়। এই প্রসঙ্গে পূর্বতন সোভিয়েত গবেষণা জাহাজ Yu.M. Shokaleki কর্তৃক বায়ুস্তর গবেষণা ও নিরীক্ষণ বিশেষ আগ্রহের সৃষ্টি করে।এই গবেষণা জাহাজটি 1960 খ্রী: জুলাই মাসে অনেক গুলি বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালায়। এই গবেষণায় স্থলভাগের নিকটবর্তী তার জন্য লোহিত সাগরে উচ্চ রেডন মাত্রা লক্ষ্য করা যায়। জাহাজটি যখন ভারত মহাসাগরে বিশেষতঃ নিরক্ষরেখার উপর দিয়ে গমণ করে তখন এতে রেডণমাত্রার ক্রমহ্রাসমানতা লক্ষিত হয়। এক দল গবেষকের মতে রেডণ মাত্রার এই তারতম্যই মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের কারণ।
Characteristic:-
1. মৌসুমী বায়ুর স্থিতিকাল 100-120 দিন।
2.মৌসুমী বায়ু সমুদ্র থেকে যতই স্থলভাগের দিকে প্রবেশ করে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ততই কমে।
3.প্রতি বছর মৌসুমি বায়ুর পরিবর্তন ঘটে।
4.গ্রীষ্মকালে মৌসুমী বায়ু যেদিকে প্রবাহিত হয় শীতকালে তার বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়।
5.মৌসুমী বায়ুর প্রত্যাবর্তন আগমনের থেকে অনেক ধীরে সংগটিত হয়।
6.মৌসুমী বায়ুতে একটানা বৃষ্টিপাত হয় না মাঝে মাঝে সাময়িক বিরতি ঘটে।
7. মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে গ্রীষ্মকাল আর্দ্র ও শীতকাল শুষ্ক।
8. মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন তাপমাত্রার ব্যবধান থাকে প্রায় 20℃।
Mechanism of Monsoon:- মৌসুমী বায়ুর উৎপত্তিকে কেন্দ্র করে যে বিভিন্ন মতবাদের উৎপত্তি হয়েছে সেগুলি হল নিম্নলিখিত।
1. সাধারন ধারণা:- স্হলভাগ ও জলভাগের মধ্যে তাপগ্রাহিতার তারতম্যের কারণেই এই বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর ব্যপক সংরস্কারকেই মৌসুমী বায়ু বলে মনে করা হয়।
গ্রীষ্মকালে উত্তর গোলার্ধে কর্কটক্রান্তি অঞ্চলে অধিক উত্তপ্ত হয় এবং দক্ষিণে মকরক্রান্তি অঞ্চলে সূর্য তির্যকভাবে পতিত হওয়ায় উত্তাপ কম পায় ও উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়। এই উচ্চচাপের বায়ু নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ে আকর্ষণ করে ফেরলের সূত্রানুসারে ডানদিকে বেঁকে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবেশ করে। সমুদ্রের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে এই বায়ু প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প বহন করে আনে।
2.জেফ্রিসের তত্ব:- বায়ুর নিম্নস্তরে জলভাগ থেকে স্থলভাগে বায়ুপ্রবাহের কারণ হিসাবে ঊধ্বস্তরে স্থলভাগ থেকে জলভাগের দিকে বায়ুর প্রবাহকে নির্দেশ করা হয়েছে। জেফ্রিস সর্বপ্রথম মৌসুমী বায়ুর উৎপত্তি সম্পর্কে একটি গাণিতিক মতবাদ প্রচলন করেন । তিনি গাণিতিক প্রমাণের সাহায্যে দেখিয়েছেন যে 2.1km ঊর্ধ্বে বায়ুর দিক পরিবর্তন হয় এবং ঊর্ধ্বে উঠলে এই বায়ু পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়।
বায়ুচাপ ও উষ্ণতার তারতম্যে বায়ুমণ্ডলের ঊর্ধ্বে ও নিম্নে বায়ুপ্রবাহের বৈপরীত্য মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের উৎপত্তির কারণ হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি উপস্থাপিত হয়।
3. রেড়ন ধারণা তত্ব:- এই তত্বে তেজস্ক্রিয় বিকিরণকে মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের কারণ হিসাবে বলা হয়েছে। ভূমি হতে প্রতিনিয়ত ইউরেনিয়াম ও থেরিয়াম বিকিরিত হয়ে বায়ুমণ্ডলে মিশছে । স্থলভাগে এই বিকিরণের মাত্রা অধিক।
কিন্তু এই তত্বের বিপক্ষে বলা হয় যে, মৌসুমী বায়ুর উৎপত্তি উক্ত অঞ্চলে হলে এত স্বল্প দৈর্ঘ্যের প্রবাহপথে এত অধিক জলীয় বাষ্প এই বায়ুপ্রবাহ গ্রহণ করতে পারে না।
4.থার্মাল ইঞ্জিন তত্ত্ব:-এই তত্বে মৌসুমী বায়ুর উৎপত্তির কারণ হিসাবে প্রায় 20,000km দীর্ঘ, 600-1000km বিস্তৃত এবং 4km উচ্চ তিব্বতের উচ্চ মালভূমির তাপীয় প্রভাবকে বর্ণনা করা হয়ে থাকে।এই মালভূমি পাশ্ববর্তী অঞ্চল অপেক্ষা 2°-3℃ উষ্ণতর । Dr. P. Koteswaram এবং Prof. H. Flohn বলেন তীব্বত মালভূমি বায়ুমণ্ডলে তাপের একটি উৎস হওয়ায় এই অঞ্চলের বায়ুকে উর্ধ্বমুখী করে ।
ঊর্ধ্বগমন কালে বায়ু দক্ষিণমুখী হয়ে ভারত মহাসাগরীয় নিরক্ষীয় অঞ্চলে নিমজ্জিত হয়। এই সময় নিম্নগামী বায়ু পৃথিবীর আবর্তনের কারণে দক্ষিণে বিক্ষিপ্ত হয় এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রত্যাগমণশীল বায়ু রুপে ভারতে প্রবেশ করে। ভারত মহাসাগরে এর উত্তরাভিমুখী গমনকালে এই বায়ু প্রচুর জলীয় বাষ্প শোষন করে ।
তবে এই যুক্তির বিপক্ষে দুটি মুখ্য প্রশ্ন তোলা হল-
(!)ভারতীয় মৌসুমী বায়ুপ্রবাহ কি তপ্ত উৎসস্থল দ্বারাই পরিচালিত হয়?
(!!)ভারত মহাসাগরের নিরক্ষীয় অঞ্চলে কি বায়ুর নিম্নগমন লক্ষ্য করা যায়?
5.মৌসুমী মেম সংবহন তত্ব:-উপগ্রহ কর্তৃক প্রেরিত মেমের আলোকচিত্রের সাহায্যে বর্তমানে সমুদ্রের উপরে ঝড়ের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে অনুরূপ ঝড়ের লক্ষণ সূচিত হলেও উপগ্রহ মাধ্যমে তা ধরা পড়ে। উপগ্রহ কর্তৃক প্রেরিত আলোকচিত্র প্রমাণ করে যে, মৌসুমী বায়ু যখন ভারতের দিকে অগ্রসর হয়, তখন এটি আরবসাগর ও এডেন উপসাগর থেকে আগত অন্য একটি পশ্চিমা বায়ুর সঙ্গে মিলিত হয়। এটি সম্ভব হতে পারে যে, এ পর্যন্ত যে রেডনের পরিমাপ করা গিয়েছে তা প্রকৃত মৌসুমী বায়ুর কারণ না হয়ে আরবে উৎপন্ন পশ্চিমা বায়ু প্রতিনিধিত্ব করে।
তবে এই যুক্তির বিপক্ষে দুটি মুখ্য প্রশ্ন তোলা হল-
(!)ভারতীয় মৌসুমী বায়ুপ্রবাহ কি তপ্ত উৎসস্থল দ্বারাই পরিচালিত হয়?
(!!)ভারত মহাসাগরের নিরক্ষীয় অঞ্চলে কি বায়ুর নিম্নগমন লক্ষ্য করা যায়?
5.মৌসুমী মেম সংবহন তত্ব:-উপগ্রহ কর্তৃক প্রেরিত মেমের আলোকচিত্রের সাহায্যে বর্তমানে সমুদ্রের উপরে ঝড়ের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে অনুরূপ ঝড়ের লক্ষণ সূচিত হলেও উপগ্রহ মাধ্যমে তা ধরা পড়ে। উপগ্রহ কর্তৃক প্রেরিত আলোকচিত্র প্রমাণ করে যে, মৌসুমী বায়ু যখন ভারতের দিকে অগ্রসর হয়, তখন এটি আরবসাগর ও এডেন উপসাগর থেকে আগত অন্য একটি পশ্চিমা বায়ুর সঙ্গে মিলিত হয়। এটি সম্ভব হতে পারে যে, এ পর্যন্ত যে রেডনের পরিমাপ করা গিয়েছে তা প্রকৃত মৌসুমী বায়ুর কারণ না হয়ে আরবে উৎপন্ন পশ্চিমা বায়ু প্রতিনিধিত্ব করে।
No comments:
Post a Comment