Tuesday, August 24, 2021
Sunday, February 2, 2020
উডের ডেসপ্যাচ কি? What is Charles Wood's despatch
১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বোর্ড অফ কন্ট্রোলের সভাপতি স্যার চার্লস উড ভারতের ইংরেজী শিক্ষা প্রসারের জন্য একটি নির্দেশনামা পেশ করেন, যা উডের প্রতিবেদন’ বা ডেসপ্যাচ নামে পরিচিত।
তিনি তার প্রতিবেদনে বলেন যে-
১) কলকাতা,বোম্বাই ও মাদ্রাজে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা।
২) শিক্ষা প্রসারের জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষা বিভাগ গঠন করা ।
৩) সরকারি মডেল স্কুল গুলির সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
তিনি তার প্রতিবেদনে বলেন যে-
১) কলকাতা,বোম্বাই ও মাদ্রাজে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা।
২) শিক্ষা প্রসারের জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষা বিভাগ গঠন করা ।
৩) সরকারি মডেল স্কুল গুলির সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
Friday, January 24, 2020
বায়ুর উষ্ণতার তারতম্যের কারণ [Major factors influencing Air Temperature],বিকিরণ [Radiation],পরিবহন [Conduction],পরিচলন [Convection]
বায়ুমন্ডলের তাপ ও তাপের তারতম্যের কারণ:-
► বায়ুর উষ্ণতার তারতম্যের কারণ [Major factors influencing Air Temperature]:- সূর্য পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার প্রধান উৎস । সুর্যরশ্মি ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে । বায়ুমন্ডল প্রধানত তিনটি প্রণালীতে উত্তপ্ত হয় ; যথা — [i] বিকিরণ [Radiation] , [ii] পরিবহন [Conduction] ও [iii] পরিচলন [Convection] প্রণালীতে ।
[i] বিকিরণ [Radiation] :- বায়ুমণ্ডল সূর্যকিরণের দ্বারা সরাসরিভাবে উত্তপ্ত হয় না । সুর্য থেকে আলোর তরঙ্গ বায়ুমণ্ডল ভেদ করে ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ে । সূর্য থেকে বিকিরণ পদ্ধতিতে আগত তাপশক্তি বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে এলেও বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত না করে প্রথমে কঠিন ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে । ভূপৃষ্ঠের তাপ বিকীর্ণ হওয়ার ফলে ভূপৃষ্ঠের সংলগ্ন বায়ুস্তর উত্তপ্ত হয় ।
[ii] পরিবহন [Conduction] :- সূর্য থেকে বিকিরণ পদ্ধতিতে আগত তাপশক্তি বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে এলেও বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত না করে প্রথমে কঠিন ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে । ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ু ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে লেগে থাকার ফলে পরিবহন পদ্ধতিতে বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয় ।
[iii] পরিচলন [Convection] :- ভূপৃষ্ঠের সংলগ্ন বায়ু উত্তপ্ত ও হালকা হয়ে উপরে চলে যায় । তখন উপরের শীতল বায়ু এখানকার শূন্যস্থান পূরণ করতে ছুটে আসে । সেও আবার উত্তপ্ত হয়ে উপরে উঠে যায় । এইভাবে নীচ থেকে উপরে ও উপর থেকে নীচে বায়ু চলাচলের ফলে পরিচালন ক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয় ।
► বায়ুর উষ্ণতার তারতম্যের কারণ :- ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র তাপ সমান নয় । স্থানভেদে বায়ুর উষ্ণতার তারতম্য ঘটে । বায়ুর উষ্ণতার তারতম্য ঘটে বিভিন্ন কারণে, যথা —[i] অক্ষাংশ, [ii] সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা, [iii] সমুদ্র থেকে দুরত্ব, [iv] বায়ুপ্রভাব, [v] সমুদ্রস্রোত, [vi] ভূমির ঢাল, [vii] ভূমির প্রকৃতি, [viii] অরণ্যের অবস্থান, প্রভৃতি ।
► বায়ুর উষ্ণতার তারতম্যের কারণ [Major factors influencing Air Temperature]:- সূর্য পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার প্রধান উৎস । সুর্যরশ্মি ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে । বায়ুমন্ডল প্রধানত তিনটি প্রণালীতে উত্তপ্ত হয় ; যথা — [i] বিকিরণ [Radiation] , [ii] পরিবহন [Conduction] ও [iii] পরিচলন [Convection] প্রণালীতে ।
[i] বিকিরণ [Radiation] :- বায়ুমণ্ডল সূর্যকিরণের দ্বারা সরাসরিভাবে উত্তপ্ত হয় না । সুর্য থেকে আলোর তরঙ্গ বায়ুমণ্ডল ভেদ করে ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ে । সূর্য থেকে বিকিরণ পদ্ধতিতে আগত তাপশক্তি বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে এলেও বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত না করে প্রথমে কঠিন ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে । ভূপৃষ্ঠের তাপ বিকীর্ণ হওয়ার ফলে ভূপৃষ্ঠের সংলগ্ন বায়ুস্তর উত্তপ্ত হয় ।
[ii] পরিবহন [Conduction] :- সূর্য থেকে বিকিরণ পদ্ধতিতে আগত তাপশক্তি বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে এলেও বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত না করে প্রথমে কঠিন ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে । ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ু ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে লেগে থাকার ফলে পরিবহন পদ্ধতিতে বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয় ।
[iii] পরিচলন [Convection] :- ভূপৃষ্ঠের সংলগ্ন বায়ু উত্তপ্ত ও হালকা হয়ে উপরে চলে যায় । তখন উপরের শীতল বায়ু এখানকার শূন্যস্থান পূরণ করতে ছুটে আসে । সেও আবার উত্তপ্ত হয়ে উপরে উঠে যায় । এইভাবে নীচ থেকে উপরে ও উপর থেকে নীচে বায়ু চলাচলের ফলে পরিচালন ক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয় ।
► বায়ুর উষ্ণতার তারতম্যের কারণ :- ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র তাপ সমান নয় । স্থানভেদে বায়ুর উষ্ণতার তারতম্য ঘটে । বায়ুর উষ্ণতার তারতম্য ঘটে বিভিন্ন কারণে, যথা —[i] অক্ষাংশ, [ii] সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা, [iii] সমুদ্র থেকে দুরত্ব, [iv] বায়ুপ্রভাব, [v] সমুদ্রস্রোত, [vi] ভূমির ঢাল, [vii] ভূমির প্রকৃতি, [viii] অরণ্যের অবস্থান, প্রভৃতি ।
Thursday, January 23, 2020
Tuesday, January 21, 2020
ভারতীয় সংবিধান(The Constitution of India)
প্রস্তাবনা
"আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে এবং তার সকল নাগরিকই যাতে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার, চিন্তা, মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা, সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তির মর্যাদা এবং জাতীয় ঐক্য ও সংহতি সুনিশ্চিতকরণের মাধ্যমে তাদের মধ্যে যাতে ভ্রাতৃত্বের ভাব গড়ে ওঠে তার জন্য সত্যনিষ্ঠার সাথে সপথ গ্রহণ করে, আমাদের গণপরিষদে আজ, 1949 সালের 26 নভেম্বর, এতদ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ, বিধিবদ্ধ এবং নিজেদের অর্পণ করেছি।
PREAMBLE
WE, THE PEOPLE OF INDIA,having solemnly resolved to constitute India into a SOVEREIGN SOCIALIST SECULAR DEMOCRATIC REPUBLIC AND TO SECURE TO ALL ITS CITIZENS: JUSTICE, social, economic and political; LIBERTY of thought, expression, belief, faith and worship; EQUALITY of status and of opportunity; and to promote among them all FRATERNITY assuring the dignity of the individual and the unity and integrity of the Nation; IN OUR CONSTITUENT ASSEMBLY this twentysixth day of November 1949, do HEREBY ADOPT, ENACT AND GIVE TO OURSELVES THIS CONSTITUTION.
"আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে এবং তার সকল নাগরিকই যাতে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার, চিন্তা, মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা, সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তির মর্যাদা এবং জাতীয় ঐক্য ও সংহতি সুনিশ্চিতকরণের মাধ্যমে তাদের মধ্যে যাতে ভ্রাতৃত্বের ভাব গড়ে ওঠে তার জন্য সত্যনিষ্ঠার সাথে সপথ গ্রহণ করে, আমাদের গণপরিষদে আজ, 1949 সালের 26 নভেম্বর, এতদ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ, বিধিবদ্ধ এবং নিজেদের অর্পণ করেছি।
PREAMBLE
WE, THE PEOPLE OF INDIA,having solemnly resolved to constitute India into a SOVEREIGN SOCIALIST SECULAR DEMOCRATIC REPUBLIC AND TO SECURE TO ALL ITS CITIZENS: JUSTICE, social, economic and political; LIBERTY of thought, expression, belief, faith and worship; EQUALITY of status and of opportunity; and to promote among them all FRATERNITY assuring the dignity of the individual and the unity and integrity of the Nation; IN OUR CONSTITUENT ASSEMBLY this twentysixth day of November 1949, do HEREBY ADOPT, ENACT AND GIVE TO OURSELVES THIS CONSTITUTION.
মৌলিক অধিকার(Duties)
∆সংবিধানের প্রতি আনুগত্য, সংবিধানের আদর্শ ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতের সম্পর্কে শ্রদ্ধাবোধ।
∆মহান আদর্শ যেগুলি স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে সেগুলি লালন ও অনুসরণ।
∆ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করা।
∆আহ্বান এলে দেশ রক্ষা ও জাতির সেবায় নিজেকে নিয়োগ করা।
∆ভাষা-ধর্ম-অঞ্চল-শ্রেণী নির্বিশেষে সকল ভারতবাসীর মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য, চেতনা ও ভ্রাতৃত্ববোধের বিকাশ ঘটানো।
∆আমাদের মিশ্র সংস্কৃতি সমৃদ্ধ উত্তরাধিকারের মান্য ও সংরক্ষণ করা।
∆বন,হ্রদ, নদী ও বন্যপ্রাণীসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও তাকে বিকশিত করা এবং প্রাণীজগতের প্রতি সহানুভূতি পোষণ।
∆বিজ্ঞানমনস্কতা, মানবতা,,অনুসন্ধিৎসা ও সংস্কারের বিকাশ।
∆রাষ্ট্রের সম্পত্তি রক্ষা ও হিংসা বর্জন।
∆ব্যক্তি ও সমষ্টির কার্যাবলির সর্বক্ষেত্রে উৎকর্ষের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছনোর প্রচেষ্টা করা যাতে জাতি সদা কর্মোদ্যম ও সাফল্যের উচ্চতর স্তরে উঠতে পারে।
∆বাবা-মা/অভিভাবকদের দায়িত্ব 6-14 বছরের শিশুদের শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া।
∆মহান আদর্শ যেগুলি স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে সেগুলি লালন ও অনুসরণ।
∆ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করা।
∆আহ্বান এলে দেশ রক্ষা ও জাতির সেবায় নিজেকে নিয়োগ করা।
∆ভাষা-ধর্ম-অঞ্চল-শ্রেণী নির্বিশেষে সকল ভারতবাসীর মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য, চেতনা ও ভ্রাতৃত্ববোধের বিকাশ ঘটানো।
∆আমাদের মিশ্র সংস্কৃতি সমৃদ্ধ উত্তরাধিকারের মান্য ও সংরক্ষণ করা।
∆বন,হ্রদ, নদী ও বন্যপ্রাণীসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও তাকে বিকশিত করা এবং প্রাণীজগতের প্রতি সহানুভূতি পোষণ।
∆বিজ্ঞানমনস্কতা, মানবতা,,অনুসন্ধিৎসা ও সংস্কারের বিকাশ।
∆রাষ্ট্রের সম্পত্তি রক্ষা ও হিংসা বর্জন।
∆ব্যক্তি ও সমষ্টির কার্যাবলির সর্বক্ষেত্রে উৎকর্ষের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছনোর প্রচেষ্টা করা যাতে জাতি সদা কর্মোদ্যম ও সাফল্যের উচ্চতর স্তরে উঠতে পারে।
∆বাবা-মা/অভিভাবকদের দায়িত্ব 6-14 বছরের শিশুদের শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া।
Subscribe to:
Posts (Atom)