যেসব কার্যাবলী শিক্ষার্থীর বৈদ্ধিক বিকাশের সঙ্গে তার জীবনের সর্বাঙ্গীণ বিকাশের অন্যান্য দিকে সহায়তা করে তাদের একত্রে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী বলা হয়।
শিক্ষার আধুনিক লোক্ষ্যর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিবর্তনের ধারায় সাপেক্ষ শিক্ষার্থীর শিক্ষার লক্ষ্যকে সফল করার জন্যে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর ভূমিকা অনবদ্য।
এই কার্যাবলীর উদ্দেশ্য গুলি হল নিম্নলিখিত-
❶শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীণ বিকাশ সহায়তা করা।
❷শিক্ষার্থীর সক্রিয়তার মধ্যে বৈচিত্র এনে প্রথাগত শিক্ষার একঘেয়েমি দূর করা।
❸শিক্ষার্থীদের কর্মী স্বাধীনতা দিয়ে তাদের মধ্যে স্থায়ী শৃঙ্খলা বোধ জাগ্রত করা।
❹ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্র অনুযায়ী শিক্ষার্থীকে বিকাশের সুযোগ দান করা।
❺শিক্ষার্থী সামাজিক ও চারিত্রিক বিকাশের সহায়তা করা।
শ্রেণিবহির্ভূত সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী তাৎপর্য গুলি হল-
1️⃣মানসিক বিকাশ:- সুস্থ দেহে সুস্থমনের দৈহিক বিকাশ সঠিকভাবে হলে তার প্রভাব মনের উপর পড়ে। ফলে, বিতর্ক সভা, আলোচনা সভা, চিত্র অংকন ও পত্রিকা প্রকাশ ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করা প্রভৃতিতে শিক্ষার্থীর বৈদিক বিকাশ যথাযথ হয়।
2️⃣সামাজিক বিকাশ:- N.C.C, N.A.S.S প্রভৃতি সমাজসেবামূলক কাজের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীর সমাজবোধের বিকাশ ঘটে।
3️⃣শৃঙ্খলাবোধে বিকাশ:- শিক্ষার্থী সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী গুলি স্বতঃস্ফূর্তভাবে করার ফলে তারমধ্যে শৃঙ্খলাবোধের বিকাশ ঘটে ।
4️⃣আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি:- সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী শিক্ষার্থীর মধ্যে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে যেহেতু এই কাজটি তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পড়ে থাকে ।
5️⃣উৎপাদনমূলক কার্য ও বৃত্তি:- সূচের কাজ, বাগান তৈরি, সাবান তৈরি, মোমবাতি তৈরি, মাটির জিনিস তৈরি প্রভৃতি উৎপাদন মূলক কাজে শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে যা অনেক ক্ষেত্রে বৃত্তির রূপ নেয় ।
6️⃣একঘেয়েমি দূরীকরণ:- কর্ম বৈচিত্র, কর্ম স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য তার আনন্দ অনুভূতি আসে এরকম বৈচিত্র্যপূর্ণ কার্যাবলী শিক্ষার্থীরা একঘেয়েমি দূর করে ।
7️⃣প্রাক্ষোভিক বিকাশ:- শিক্ষার্থীরা যখন নানা সহপাঠক্রমিক কাজে যোগ দেয় তখন তাদের মধ্যে এক অভিনব আবেগের সৃষ্টি হয় যার ভিতর দিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রাক্ষোভিক বিকাশ ঘটে।
No comments:
Post a Comment