আজ সোমবার। সূর্য মহাশয় আকাশ থেকে সকল গাছপালাকে যেন হাসিয়ে তুলেছে। এরকম সকাল বেশ মনোরম এমন অবস্থায় কফি খেতে খেতে মেঘশুন্য আকাশের কল্পনা করতে আমার বেশ ভালো লাগে। মনে হয় প্রসারিত দিগন্তে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়, হয়ত সেখানে অনেক কিছুর সাথে দেখা মিলতে পারে। মনে হয় প্রকৃতির অজানা সব রহস্য ওখানেই লুকিয়ে রয়েছে। ইচ্ছে করে ওখানে একটু উঁকি দিয়ে আসতে। এসব চিন্তাভাবনার মধ্যে হঠাৎ আমাকে চমকে দিয়ে উপস্থিত হল রামনরেশ ওরফে রামু। আমার কফির কাপটা পড়তে পড়তে বেঁচে গেল। ওর কথাবার্তা শুনে মনে হল ওর এক বিপদ হয়েছে এবং আমাকে এখুনি যেতে হবে। আগত্যা কি আর করি যেতেই হল ওদের ওখানে। যাওয়ার পথে আমার খুরতুতো মাসতুতো বোন সেলেনাকে ডেকে নিলাম। ঘণ্টাখানেক পথ যাওয়ার পর হাটাপথ ধরে গলির ভিতর দিয়ে গিয়ে আমরা ফাঁকা কংক্রিটের রাস্তা ধরে যেতে লাগলাম। সেই সময় শোনা গেল দূর থেকে ভেসে আসছে কান্নার শব্দ। কাছে যেতেই দেখলাম বেশ ভিড় জমেছে। ভিড় কাটিয়ে ভিতরে গিয়ে দেখলাম দুজন মরে পড়ে আছে, একটা মেয়ে ও একটা ছেলে। দেখে বুঝলাম মেয়েটার বয়স নয় বা দশ ও ছেলেটির বয়স মধ্য চল্লিশের। এরকম আশ্চর্য মৃত্যু আমার জীবনে আমি প্রথম দেখলাম।জিজ্ঞেস করে জানতে পারা গেল সম্পর্কে তারা বাবা ও মেয়ে।
Read more......
No comments:
Post a Comment