আধুনিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হল-শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীণ জীবন বিকাশের সহায়তা করা। আর যেখানে বর্তমানের প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষার্থীর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সামাজিক পরিবেশ সমানভাবে প্রভাবিত করে।
শিক্ষার্থীর প্রাকৃতিক পরিবেশে বিভিন্ন দিক দিয়ে শিক্ষার্থীকে প্রভাবিত করে। যেমন-
1️⃣ খাদ্য সরবরাহ:-প্রাকৃতিক পরিবেশের অন্তর্গত উদ্ভিদজগৎ শিক্ষার্থীকে ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রভাবিত করে।
2️⃣সুস্থ জীবন যাপন:-প্রাকৃতিক পরিবেশের এমন কিছু জীবাণু জন্মায় যেগুলি দূষিত পদার্থ নষ্ট করে এবং পরিবেশের সুস্থতা বজায় রাখে। প্রাকৃতিক পরিবেশের এর প্রভাবে শিক্ষার্থীর মধ্যে সুস্থ জীবনজাপনের প্রয়াসের শিক্ষা দেয়।
3️⃣দৈনন্দিন চাহিদা :- প্রাকৃতিক পরিবেশের অন্তর্গত যে অংশে মানুষ বাস করে তাকে বলা হয় বায়োস্ফিয়ার। এই বায়োস্ফিয়ারই পৃথিবীর দূষিত পদার্থগুলি শোষণ করে। সুতরাং মানুষের জন্য যা কিছু দূষিত তা দূর করার প্রবণতা শিক্ষার্থী এই প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে লাভ করে।
4️⃣বস্তুর ধারণা:- প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে পাহাড়, পর্বত, নদ-নদী এবং সমুদ্র ইত্যাদি বর্তমান এবং তাদের সমন্বয়ে পরিবেশকে সুন্দর দেখায়। প্রাকৃতিক পরিবেশের এই সৌন্দর্যমূল্য শিক্ষার্থীকে রুচিসম্মতভাবে জীবনযাপনের অনুপ্রাণিত করে এবং সক্রিয় করে তোলে।
5️⃣কৃষি মূলক মূল্যায়ন :- প্রাকৃতিক পরিবেশ, শিক্ষার্থীকে প্রাচীন সভ্যতা গুলির সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দিতে পারে। এই ধারণা শিক্ষার্থীকে তার নিজের বসবাসের স্থান, তার কৃষ্টি ইত্যাদির মূল্যায়ন সঠিকভাবে করতে সাহায্য করে।
সামাজিক পরিবেশের উপর গুরুত্ব:--
সামাজিক পরিবেশ যে সমস্ত দিক থেকে শিক্ষার্থীর জীবন বিকাশে প্রভাবিত করে তাদের মধ্যে হল-
1️⃣শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত বিকাশ:- সামাজিক পরিবেশের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যাভ্যাস(Health Habit), খাদ্যাভ্যাস(Food Habit) ইত্যাদি গড়ে ওঠে।
2️⃣সামাজিক বিকাশ:-সামাজিক পরিবেশের বিশেষভাবে সমাজর অন্তর্গত পরিবারের প্রভাবে শিক্ষার্থী, অর্থনৈতিক কাঠামো সম্পর্কে সচেতন হয় এবং তার দরুন তাদের জীবনযাত্রার মান নির্ধারণ হয়।
3️⃣জীবনযত্রার মান উন্নয়ন:-সামাজিক পরিবেশের প্রভাবে শিক্ষার্থী তার নিজস্ব সংস্কৃতি এবং কৃষ্টিগত বৈশিষ্ট্যগুলি অর্জন করে। এক কথায় বলা যায় সামাজিক পরিবেশ বিশেষভাবে শিক্ষার্থীর সামাজিক বিকাশে সহায়তা করে।
4️⃣শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীণ বিকাশ:-শিক্ষালয়(School) ধর্মীয়সংস্থা(Religious Institution) ইত্যাদির মতো সামাজিক পরিবেশ অন্তর্গত সংস্থাগুলি শিক্ষার্থীর আচরণ কে প্রভাবিত করে তার মধ্যে আধ্যাত্মিক নৈতিক এবং চারিত্রিক বিকাশে সহায়তা করে।
5️⃣সু অভ্যাস গঠন:- সামাজিক পরিবেশের অন্তর্গত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংস্থাগুলি সমাজেরই উপাদান হিসেবে কাজ করে। শিক্ষার্থীর মধ্যে আদর্শ জীবনযাপনের উপযোগী শৃঙ্খলা বোধ স্থায়ীভাবে জাগ্রত করে।
No comments:
Post a Comment