Sunday, December 19, 2021
Class ix physical science question and answer
A.E-2019
F.m90
1
a)cgs পদ্ধতিতে আয়তনের একক কী?
🛑 ঘন সেন্টিমিটার (cm3) এবং SI পদ্ধতিতে ঘনমিটার (m3)।
b) দৈর্ঘ্য পরিমাপ করার যন্ত্রের নাম কী?
🛑স্কেল।
c) অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা হল-
🛑6.023 x 1023
d)দ্রাব্যতার একক হল
🛑দ্রাব্যতা পদার্থের একটি ভৌত ধর্ম। কোন নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রাবককে সম্পৃক্ত দ্রবণে পরিণত করতে যে পরিমাণ দ্রব দ্রবীভূত করতে হয় তাকেই ঐ তাপমাত্রায় ঐ দ্রবের দ্রাব্যতা বলে। দ্রাব্যতা একটি আনুপাতিক রাশি। এর কোন একক নেই।e) ব্যাপন হল কোন মিশ্রনের-
🛑ঘন থেকে লঘু হওয়ার পদ্ধতি।
f)ফ্লুরোসিস রোগ হয়-
🛑জলে ফ্লোরাইড দূষনের জন্য।
g) 1 জুল= ?
🛑107 =10N
h)নিউক্লিয়াসের ব্যাস কত?
🛑10^-13Cm
i) অ্যাসিড দ্রবণে লিটমাসের বর্ণ কি?
🛑লাল।
j) বলয় পরীক্ষায় বলয়ের রং কি?
🛑বাদামি।
k)কার্যের মাত্রা কি?
🛑
l) মিল্ক অফ ম্যাগনেসিয়া তে উপস্থিত রাসায়নিক পদার্থটি কি?
?
🛑
m)মোলিয়াস কোথায় অবস্থিত?
?
🛑
একটি করে উদাহরণ দাও
সল
?
🛑
কঠিন এরোসল বা আম্লিক অক্সাইড
?
🛑
তরল এরোসল বা ক্ষারকীয় অক্সাইড
ইমালসন
অবদ্রবকারক
শমিত লবণ বা অ্যাসিড লবন
একটি করে ব্যবহার লেখ
মিথাইল অ্যালকোহল অথবা NaoH
ইথাইল অ্যালকোহল অথবা H2SO4
অ্যাসিটোন
ক্লোরোফর্ম
কেরোসিন
Seed Crystal
দ্রুতি ও বেগের দুটি সাদৃশ্য লেখ
দ্রুতি ও বেগের দুটি পার্থক্য লেখ
স্থিরাবস্থা থেকে একটি বস্তুকণা যাত্রা শুরু করে 5 m/S2 ত্বরণ নিয়ে চলছে। 2 সেকেন্ড পরে কত পথ অতিক্রম করবে?
সাইফনের দুটি প্রয়োগ লেখ
ঘনত্ব ও আপেক্ষিক ঘনত্বের দুটি পার্থক্য লেখ।
ধারারেখ প্রবাহকে কি কি ভাগে ভাগ করা যায়?
ক্লোরিনের দুটি আইসোটোপ কি কি
পাথরে কুষ্ঠ কাকে বলে? অ্যাসিড বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণের একটি উপায় লেখ। সেপারেটরি ফানেল কখন ব্যবহার করি?
এক অশ্বক্ষমতা কাকে বলে?
ইউট্রোফিকেশন কাকে বলে?
সিজিএস পদ্ধতিতে শক্তির দুটি একক লেখ।
উষ্ণ ও গাঢ় H2SO4 -এর সঙ্গে Zn-এর বিক্রিয়াটির সমীত সমীকরণটি লেখ
HCL -এর শনাক্তকরণ বিক্রিয়াটি লেখ।
ফ্লুওরাইড যৌগের ক্ষতিকারক দুটি প্রভাব লেখ।
ক্যাটায়ন বিনিময়কারী রেজিন ও অ্যানায়ন বিনিময়কারী রেজিন এর সাধারণ সংকেত লেখ।
400 হার্জ কম্পাঙ্ক বিশিষ্ট একটি সুরশলাকা বায়ুতে কম্পিত হয়ে 85 সেমি তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট উৎপন্ন করছে। বায়ুতে শব্দের বেগ নির্ণয় করো।
শীতকালে ভোরে পুকুরের জলের উপর কুয়াশা হতে দেখা যায় কেন?
নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও
লেখচিত্রের সাহায্যে প্রমাণ করো:-v=v+at
ব্যারোমিটার এর সাহায্যে আবহাওয়ার পূর্বাভাস কিভাবে নির্ণয় করা হয়।
প্লবতার তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
ইলেকট্রন বিন্যাস লেখ- 10Ne20, 11Na23, 12Mg24
জলের 1টি অণুর ওজন নির্ণয় কর।
জলের খরতার তিনটি কারণ লেখ।
ক্যালরিমিতির মূলনীতি পূরণের তিনটি শর্ত লেখ।
1g জলের আয়তন উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে কীভাবে পরিবর্তিত হয় তা লেখচিত্রের সাহায্যে দেখাও।
শব্দের প্রতিফলন ও আলোর প্রতিফলনের মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখ। শব্দের প্রাবাল্য কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
Sunday, December 12, 2021
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবী ও শ্রীপান্থের লেখা প্রবন্ধ হারিয়ৈ যাওয়া কালি কলমের প্রকৃতি পাঠ ও সৃষ্টিশীল রচনায় আমি লেখার দ্বারা যে বিশেষ জ্ঞান লাভ করেছি তাঁর জন্য আমি সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের বিদ্যালয়ের মাননীয় শিক্ষক শ্রী গনেশ চন্দ্র মৃধার প্রতি। কারণ তার ঐকান্তিক সহযোগিতায় ছাড়া আমার এই প্রকল্পটি রচনা আমার পক্ষে সম্ভব হত না। তারপর আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমার সহপাঠীদের যাঁরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রকল্পটি রচনা করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সাহায্য করেছে। এছাড়া আমি ধন্যবাদ জানাই আমার পিতা-মাতাকে যারা আমার এই প্রকল্পটি রচনায় পাশে থেকেছেন।
.............................. .......................................
ছাত্র/ছাত্রীর স্বাক্ষর। শিক্ষক/শিক্ষিকার স্বাক্ষর
Friday, December 10, 2021
ভূমিধ্বস কারন ফলাফল ও প্রতিরোধ
ভূমিধস
ভূমিধস (Landslide) আভিকর্ষ বলের প্রভাবে অপেক্ষাকৃত উচ্ছ অঞ্চলের ভূখন্ড, শিলা বা উভয়ের প্রত্যক্ষভাবে নিম্নমুখী অবনমন বা পতনই হল ভূমিধ্বস। প্রায়শই এর কারণ জলের প্রবেশ, যা স্ফীত কাদামাটিকে আরও তরল করে তোলে। ভূমিধস ভূমিক্ষয়ের একটা বড় কারণ এবং জানামতে সবচেয়ে শক্তিশালী অবক্ষয়, যা প্রায়শ বছরে প্রতি বর্গ কিমি ১০০০ টন ছাড়িয়ে যায়। পাহাড়ি এলাকায় এটা বহুল প্রচলিত। এই অঞ্চলের অনবস্থার (instability) দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ভূমিধস ঘটনার লিখিত নথিপত্র খুব কম হলেও এখানে বসবাসকারী লোকজনের এটা একটা স্থায়ী দুর্ভোগ। প্রকৃতপক্ষে প্রতি বছরই, বিশেষ করে বর্ষাকালে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট উভয়বিধ ঢালে ভূমিধস সংঘটিত হয়। ভারত ঘন বসতিপূর্ণ দেশ হলেও জনসংখ্যার বিন্যাসের দিক থেকে পাহাড়ি অঞ্চল একেবারে বিপরীত। আর এর পেছনেও বড় কারণ এই ভূমিধস ভীতি, যা সেখানে বসবাস করতে অথবা অবকাঠামো গড়ে তুলতে নিরুৎসাহিত করে, যদিও অসমতা, গভীর অরণ্য এবং বন্ধুর ভূ-প্রকৃতিও এর জন্য দায়ী। ভূমিধসের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে সড়ক প্রতিবন্ধকতা।
ভবনাদি ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের কারণে সৃষ্ট ভূমিধস সাধারণত পার্বত্য জেলা শহরের শহর ও উপশহর কেন্দ্রে সীমিত। বহু ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো, বিশেষ করে খাড়া উঁচু ঢালের উপর যেগুলি বিদ্যমান সেগুলি, ভূমিধসের কারণে ধসে পড়ে জানমালের ক্ষতি সাধন করে। বিগত বছরগুলিতে খাড়া উঁচু ঢালে জুমচাষ এবং অন্যান্য চাষাবাদও ভূমিধস সংঘটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতসব সমস্যা সত্ত্বেও দেশের মোট প্রায় ১৮% অঞ্চলব্যাপী পার্বত্য অঞ্চল খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। সম্প্রতি বহু বিদেশি কোম্পানি এই অঞ্চলে তেল ও গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রয়োজন। কিন্তু পাহাড়ি এলাকায় যখন রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হয় তখন ভূমিধসপ্রবণ অঞ্চলগুলির কথা বিবেচনায় আনা হয় নি। এ কারণে প্রতিবছর এসব সড়কে ভূমিধস ঘটছে এবং যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে শুধু সড়কই নয়, বিভিন্ন অবকাঠামোও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
মানব সমাজ ও অর্থনীতির ওপর ভূমিধসের সুনির্দিষ্ট বিরূপ প্রভাব সত্ত্বেও এ সম্পর্কে এদেশে গবেষণা শুরু হয়েছে অপেক্ষাকৃত দেরিতে। ডুপিটিলা স্তরসমষ্টি দ্বারা গঠিত পাহাড়ে পার্শ্বিক বিস্তার (lateral spreading), তৎসংলগ্ন অঞ্চলের প্রাকৃতিক ঢালের নতিমাত্রা (১২০ বেশি) স্তরের প্রতিন্যাস (bedding altitude) শিলার লক্ষণ (rock lithology) ও তৃণহীন ঢালে বৃষ্টির জলের অনুপ্রবেশ ঐ অঞ্চলের ভূমিধসের জন্য দায়ী। ভূমিক্ষয়ের জন্য তিন ধরনের ভূমিধস ও ঢাল বিচ্যুতি, যথা পার্শ্বিক প্রসারণ ব্যর্থতা, ডুপিটিলা স্তরসমষ্টি দ্বারা গঠিত পাহাড়ে ঘূর্ণন ও স্থানান্তরিক ব্যর্থতা (rotational and transitional failure) এবং বোকাবিল স্তরসমষ্টি দ্বারা গঠিত পাহাড়ে ত্রিমাত্রিক ব্যর্থতা (block failure) ও টিপাম স্তরসমষ্টি ঘূর্ণন, স্থানান্তরিক ও ত্রিমাত্রিক ব্যর্থতা দায়ী।
ভূমিধসের প্রকার, কারণ ও প্রকৃতি :- ভূমিধস সংঘটনের প্রকৃতি ও প্রক্রিয়াদি সমুহ হচ্ছে: ১) পার্শ্বিক সমর্থনের (lateral support) অপসারণ, যার মধ্যে রয়েছে- (ক) পাহাড়ি নদী কর্তৃক পার্শ্বক্ষয়, (খ) পূর্ববতী ঢাল বিচলন, যেমন স্খলন (slum), যা নতুন ঢালের সৃষ্টি করে, (গ) মানুষ কর্তৃক ঢালের পরিবর্তন, যেমন পাহাড় কাটা, গর্ত করা বা খাল খনন; ২) ঢালে ওজন বৃদ্ধি, যার মধ্যে রয়েছে- (ক) বৃষ্টির পানি জমা, (খ) গাছপালার বৃদ্ধি, (গ) কৃত্রিমভাবে শিলা বা গন্ডশিলা নির্মাণ, (ঘ) ভবনাদি ও অন্যান্য কাঠামোর ভর, (ঙ) ছিদ্রযুক্ত পাইপ লাইন, পয়ঃপ্রণালী, খাল ও জলাধারের নিঃসারিত পানির ওজন; ৩) ভূমিকম্প; ৪) ভূ-অভ্যন্তরস্থ প্রচন্ড শক্তির কারণে পাহাড়সমূহের আঞ্চলিকভাবে একদিকে কাত হওয়া; ৫) ভূনিম্নস্থ সমর্থনের (underlying support) অপসারণ, যার মধ্যে রয়েছে (ক) উজানভাগের পাহাড়ি নদীর স্রোতের দ্বারা নদীখাতের ক্ষয় এবং নদী ও তরঙ্গের দ্বারা কর্তন, (খ) কর্দমশিলার স্ফীতি এবং ৬) জুমচাষ।
প্রতিরোধ (Prevention) ভূমিধস প্রতিরোধের প্রচলিত প্রকৌশল পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে ভূ-পৃষ্ঠস্থ ও অন্তর্ভূ-পৃষ্ঠস্থ নিষ্কাশন, অসংহত ঢাল পদার্থ অপসারণ, ধারক প্রাচীর নির্মাণ অথবা এসবের একত্র সমাবেশ।
ভূমিধস (Landslide) আভিকর্ষ বলের প্রভাবে অপেক্ষাকৃত উচ্ছ অঞ্চলের ভূখন্ড, শিলা বা উভয়ের প্রত্যক্ষভাবে নিম্নমুখী অবনমন বা পতনই হল ভূমিধ্বস। প্রায়শই এর কারণ জলের প্রবেশ, যা স্ফীত কাদামাটিকে আরও তরল করে তোলে। ভূমিধস ভূমিক্ষয়ের একটা বড় কারণ এবং জানামতে সবচেয়ে শক্তিশালী অবক্ষয়, যা প্রায়শ বছরে প্রতি বর্গ কিমি ১০০০ টন ছাড়িয়ে যায়। পাহাড়ি এলাকায় এটা বহুল প্রচলিত। এই অঞ্চলের অনবস্থার (instability) দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ভূমিধস ঘটনার লিখিত নথিপত্র খুব কম হলেও এখানে বসবাসকারী লোকজনের এটা একটা স্থায়ী দুর্ভোগ। প্রকৃতপক্ষে প্রতি বছরই, বিশেষ করে বর্ষাকালে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট উভয়বিধ ঢালে ভূমিধস সংঘটিত হয়। ভারত ঘন বসতিপূর্ণ দেশ হলেও জনসংখ্যার বিন্যাসের দিক থেকে পাহাড়ি অঞ্চল একেবারে বিপরীত। আর এর পেছনেও বড় কারণ এই ভূমিধস ভীতি, যা সেখানে বসবাস করতে অথবা অবকাঠামো গড়ে তুলতে নিরুৎসাহিত করে, যদিও অসমতা, গভীর অরণ্য এবং বন্ধুর ভূ-প্রকৃতিও এর জন্য দায়ী। ভূমিধসের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে সড়ক প্রতিবন্ধকতা।
ভবনাদি ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের কারণে সৃষ্ট ভূমিধস সাধারণত পার্বত্য জেলা শহরের শহর ও উপশহর কেন্দ্রে সীমিত। বহু ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো, বিশেষ করে খাড়া উঁচু ঢালের উপর যেগুলি বিদ্যমান সেগুলি, ভূমিধসের কারণে ধসে পড়ে জানমালের ক্ষতি সাধন করে। বিগত বছরগুলিতে খাড়া উঁচু ঢালে জুমচাষ এবং অন্যান্য চাষাবাদও ভূমিধস সংঘটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতসব সমস্যা সত্ত্বেও দেশের মোট প্রায় ১৮% অঞ্চলব্যাপী পার্বত্য অঞ্চল খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। সম্প্রতি বহু বিদেশি কোম্পানি এই অঞ্চলে তেল ও গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রয়োজন। কিন্তু পাহাড়ি এলাকায় যখন রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হয় তখন ভূমিধসপ্রবণ অঞ্চলগুলির কথা বিবেচনায় আনা হয় নি। এ কারণে প্রতিবছর এসব সড়কে ভূমিধস ঘটছে এবং যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে শুধু সড়কই নয়, বিভিন্ন অবকাঠামোও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
মানব সমাজ ও অর্থনীতির ওপর ভূমিধসের সুনির্দিষ্ট বিরূপ প্রভাব সত্ত্বেও এ সম্পর্কে এদেশে গবেষণা শুরু হয়েছে অপেক্ষাকৃত দেরিতে। ডুপিটিলা স্তরসমষ্টি দ্বারা গঠিত পাহাড়ে পার্শ্বিক বিস্তার (lateral spreading), তৎসংলগ্ন অঞ্চলের প্রাকৃতিক ঢালের নতিমাত্রা (১২০ বেশি) স্তরের প্রতিন্যাস (bedding altitude) শিলার লক্ষণ (rock lithology) ও তৃণহীন ঢালে বৃষ্টির জলের অনুপ্রবেশ ঐ অঞ্চলের ভূমিধসের জন্য দায়ী। ভূমিক্ষয়ের জন্য তিন ধরনের ভূমিধস ও ঢাল বিচ্যুতি, যথা পার্শ্বিক প্রসারণ ব্যর্থতা, ডুপিটিলা স্তরসমষ্টি দ্বারা গঠিত পাহাড়ে ঘূর্ণন ও স্থানান্তরিক ব্যর্থতা (rotational and transitional failure) এবং বোকাবিল স্তরসমষ্টি দ্বারা গঠিত পাহাড়ে ত্রিমাত্রিক ব্যর্থতা (block failure) ও টিপাম স্তরসমষ্টি ঘূর্ণন, স্থানান্তরিক ও ত্রিমাত্রিক ব্যর্থতা দায়ী।
ভূমিধসের প্রকার, কারণ ও প্রকৃতি :- ভূমিধস সংঘটনের প্রকৃতি ও প্রক্রিয়াদি সমুহ হচ্ছে: ১) পার্শ্বিক সমর্থনের (lateral support) অপসারণ, যার মধ্যে রয়েছে- (ক) পাহাড়ি নদী কর্তৃক পার্শ্বক্ষয়, (খ) পূর্ববতী ঢাল বিচলন, যেমন স্খলন (slum), যা নতুন ঢালের সৃষ্টি করে, (গ) মানুষ কর্তৃক ঢালের পরিবর্তন, যেমন পাহাড় কাটা, গর্ত করা বা খাল খনন; ২) ঢালে ওজন বৃদ্ধি, যার মধ্যে রয়েছে- (ক) বৃষ্টির পানি জমা, (খ) গাছপালার বৃদ্ধি, (গ) কৃত্রিমভাবে শিলা বা গন্ডশিলা নির্মাণ, (ঘ) ভবনাদি ও অন্যান্য কাঠামোর ভর, (ঙ) ছিদ্রযুক্ত পাইপ লাইন, পয়ঃপ্রণালী, খাল ও জলাধারের নিঃসারিত পানির ওজন; ৩) ভূমিকম্প; ৪) ভূ-অভ্যন্তরস্থ প্রচন্ড শক্তির কারণে পাহাড়সমূহের আঞ্চলিকভাবে একদিকে কাত হওয়া; ৫) ভূনিম্নস্থ সমর্থনের (underlying support) অপসারণ, যার মধ্যে রয়েছে (ক) উজানভাগের পাহাড়ি নদীর স্রোতের দ্বারা নদীখাতের ক্ষয় এবং নদী ও তরঙ্গের দ্বারা কর্তন, (খ) কর্দমশিলার স্ফীতি এবং ৬) জুমচাষ।
প্রতিরোধ (Prevention) ভূমিধস প্রতিরোধের প্রচলিত প্রকৌশল পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে ভূ-পৃষ্ঠস্থ ও অন্তর্ভূ-পৃষ্ঠস্থ নিষ্কাশন, অসংহত ঢাল পদার্থ অপসারণ, ধারক প্রাচীর নির্মাণ অথবা এসবের একত্র সমাবেশ।
Monday, October 11, 2021
অভিশপ্ত প্রহর
আজ সোমবার। সূর্য মহাশয় আকাশ থেকে সকল গাছপালাকে যেন হাসিয়ে তুলেছে। এরকম সকাল বেশ মনোরম এমন অবস্থায় কফি খেতে খেতে মেঘশুন্য আকাশের কল্পনা করতে আমার বেশ ভালো লাগে। মনে হয় প্রসারিত দিগন্তে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়, হয়ত সেখানে অনেক কিছুর সাথে দেখা মিলতে পারে। মনে হয় প্রকৃতির অজানা সব রহস্য ওখানেই লুকিয়ে রয়েছে। ইচ্ছে করে ওখানে একটু উঁকি দিয়ে আসতে। এসব চিন্তাভাবনার মধ্যে হঠাৎ আমাকে চমকে দিয়ে উপস্থিত হল রামনরেশ ওরফে রামু। আমার কফির কাপটা পড়তে পড়তে বেঁচে গেল। ওর কথাবার্তা শুনে মনে হল ওর এক বিপদ হয়েছে এবং আমাকে এখুনি যেতে হবে। আগত্যা কি আর করি যেতেই হল ওদের ওখানে। যাওয়ার পথে আমার খুরতুতো মাসতুতো বোন সেলেনাকে ডেকে নিলাম। ঘণ্টাখানেক পথ যাওয়ার পর হাটাপথ ধরে গলির ভিতর দিয়ে গিয়ে আমরা ফাঁকা কংক্রিটের রাস্তা ধরে যেতে লাগলাম। সেই সময় শোনা গেল দূর থেকে ভেসে আসছে কান্নার শব্দ। কাছে যেতেই দেখলাম বেশ ভিড় জমেছে। ভিড় কাটিয়ে ভিতরে গিয়ে দেখলাম দুজন মরে পড়ে আছে, একটা মেয়ে ও একটা ছেলে। দেখে বুঝলাম মেয়েটার বয়স নয় বা দশ ও ছেলেটির বয়স মধ্য চল্লিশের। এরকম আশ্চর্য মৃত্যু আমার জীবনে আমি প্রথম দেখলাম।জিজ্ঞেস করে জানতে পারা গেল সম্পর্কে তারা বাবা ও মেয়ে।
Read more......
Saturday, October 9, 2021
শিশু শিক্ষায় প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সামাজিক পরিবেশের গুরুত্ব আলোচনা করো ।
সামাজিক পরিবেশের উপর গুরুত্ব:--
সামাজিক পরিবেশ যে সমস্ত দিক থেকে শিক্ষার্থীর জীবন বিকাশে প্রভাবিত করে তাদের মধ্যে হল-
1️⃣শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত বিকাশ:- সামাজিক পরিবেশের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যাভ্যাস(Health Habit), খাদ্যাভ্যাস(Food Habit) ইত্যাদি গড়ে ওঠে।
2️⃣সামাজিক বিকাশ:-সামাজিক পরিবেশের বিশেষভাবে সমাজর অন্তর্গত পরিবারের প্রভাবে শিক্ষার্থী, অর্থনৈতিক কাঠামো সম্পর্কে সচেতন হয় এবং তার দরুন তাদের জীবনযাত্রার মান নির্ধারণ হয়।
3️⃣জীবনযত্রার মান উন্নয়ন:-সামাজিক পরিবেশের প্রভাবে শিক্ষার্থী তার নিজস্ব সংস্কৃতি এবং কৃষ্টিগত বৈশিষ্ট্যগুলি অর্জন করে। এক কথায় বলা যায় সামাজিক পরিবেশ বিশেষভাবে শিক্ষার্থীর সামাজিক বিকাশে সহায়তা করে।
4️⃣শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীণ বিকাশ:-শিক্ষালয়(School) ধর্মীয়সংস্থা(Religious Institution) ইত্যাদির মতো সামাজিক পরিবেশ অন্তর্গত সংস্থাগুলি শিক্ষার্থীর আচরণ কে প্রভাবিত করে তার মধ্যে আধ্যাত্মিক নৈতিক এবং চারিত্রিক বিকাশে সহায়তা করে।
5️⃣সু অভ্যাস গঠন:- সামাজিক পরিবেশের অন্তর্গত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংস্থাগুলি সমাজেরই উপাদান হিসেবে কাজ করে। শিক্ষার্থীর মধ্যে আদর্শ জীবনযাপনের উপযোগী শৃঙ্খলা বোধ স্থায়ীভাবে জাগ্রত করে।
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী কাকে বলে ? সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর উদ্দেশ্য লেখ ? সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর তাৎপর্য উল্লেখ করো।
Friday, September 17, 2021
ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত সাম্যের অধিকার সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো। ভারতীয় সংবিধানে 16 নং ধারায় বর্ণিত সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সমানাধিকারের ব্যতিক্রম গুলি কি? অথবা ভারতীয় সংবিধানে প্রদত্ত সাম্যের অধিকার আলোচনা করো।
11.
🏯ভারতের সাম্যের অধিকার
ভারতীয় সংবিধানে ১৪-১৮ নং ধারায় সাম্যের অধিকার ঘােষিত ও স্বীকৃত হয়েছে।
[1] আইনগত সাম্য প্রতিষ্ঠা: সংবিধানের ১৪ নং ধারায় দুটি অধিকারের উল্লেখ রয়েছে一
🕴️) আইনের দৃষ্টিতে সমতা: আইনের দৃষ্টিতে সমতার অর্থ হল সব নাগরিক আইনের চোখে সমান। ক্ষমতা, পদমর্যাদা ও অবস্থা নির্বিশেষে কোনাে ব্যক্তি দেশের আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানে 'আইনের দৃষ্টিতে সমতা নীতির কয়েকটি উল্লেখযােগ্য ব্যতিক্রম রয়েছে। যেমন—
সাধারণ নাগরিকের তুলনায় পুলিশ কর্মচারীরা ব্যাপক ক্ষমতা ভােগ করে থাকেন এবং
o সংবিধানের ৩৬ নং ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যায় না।
· 👬)আইন কর্তৃক সমভাবে সংরক্ষিত হওয়ার অধিকার: আইনসমূহ কর্তৃক সমভাবে সংরক্ষিত হওয়ার অধিকারের মাধ্যমে সমপর্যায়ভুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আইন সমভাবে প্রযুক্ত হবে। এই অধিকারের অর্থ হল লােকের অবস্থা বা প্রকৃতির বিভিন্নতা বিচার করে প্রত্যেক আইনকে সব ব্যক্তির ক্ষেত্রে সমভাবে প্রয়ােগ করতে হবে। অবশ্য রাষ্ট্র যুক্তিযুক্তভাবে বিভিন্ন ব্যক্তিকে শ্রেণিবিভক্ত করতে পারে এবং পৃথক পৃথক শ্রেণির জন্য রাষ্ট্র পৃথক আইন প্রণয়ন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, প্রত্যেকে সমানভাবে কর দেবে এরূপ নয়। আয়কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগণকে আয়ের পরিমাণ অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করে বিভিন্ন হারে আয়কর ধার্য করা হয়।
[2] বৈষম্যমূলক আচরণ নিষিদ্ধকরণ: সংবিধানের ১৫ নং ধারায় বলা হয়েছে যে ধর্ম-জাতিবর্গস্ত্রী-পুরুষ এবং জন্মস্থানজনিত কারণে কোনাে নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্যমূলক আচরণ করবে না। এ ছাড়া কোনাে নাগরিককে উপরোক্ত যে-কোনাে কারণের জন্য দোকান, সাধারণের ব্যবহার্য রেস্তোরাঁ, হােটেল ও প্রমােদস্থলে প্রবেশ এবং রাষ্ট্র কর্তৃক পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে তৈরি করা কূপ, জলাশয়, স্নানের ঘাট, রাস্তা ও আশ্রয়স্থল ব্যবহার করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা চলবে না। তবে রাষ্ট্র নারী, শিশু ও সামাজিক বা শিক্ষাগত দিক থেকে অনগ্রসর শ্রেণিসমূহ, তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা অবলম্বন, করতে পারে।
[3] সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সমানাধিকার: ১৬ নং ধারায় বলা হয়েছে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, স্ত্রী, পুরুষ, বংশধারা, বর্ণ, জন্মস্থান বা বাসস্থানের ভিত্তিতে কোনাে নাগরিকের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা চলবে না। নিয়ােগ ছাড়াও বেতন, পদোন্নতি, ছুটি, পেনশন প্রভৃতি ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হবে। অবশ্য এই অধিকারের কিছু ব্যতিক্রম আছে। যেমন一
· a) রাষ্ট্র প্রয়ােজন মনে করলে কোনাে বিশেষ অনুন্নত শ্রেণির জন্য সরকারি চাকরি সংরক্ষণ করতে পারে। সরকারি চাকরিতে তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং অনগ্রসর (OBC) শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থার কথা এখানে উল্লেখ করা যায়।
· b)ধর্ম বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত চাকরি সংশ্লিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
· c)সংসদ আইন করে কোনাে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সরকারি চাকরিতে নিয়ােগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বসবাসগত যােগ্যতাকে আবশ্যিক শর্ত হিসেবে আরােপ করতে পারে।
[4] অস্পৃশ্যতা নিষিদ্ধকরণ: ১৭ নং ধারায় অস্পৃশ্যতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংসদে ১৯৫৫ সালে অস্পৃশ্যতাবিরােধী আইন পাস করা হয়। এর দ্বারা অস্পৃশ্যতা আচরণকারীদের শাস্তির বিধান লিপিবদ্ধ হয়েছে।
[5] উপাধি নিষিদ্ধকরণ: সংবিধানে ১৮ নং ধারায় নাগরিকদের মধ্যে গণতন্ত্রসুলভ সাম্য প্রতিষ্ঠাকল্পে বলা হয়েছে যে, কোনাে ভারতীয় নাগরিক দেশি বা বিদেশি পদবি বা উপাধি গ্রহণ করতে পারবে না, কিন্তু সামরিক বা শিক্ষা-সংস্কৃতিমূলক উপাধির ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযােজ্য হবে না।
ii) ধর্ম বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত চাকরি সংশ্লিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য সংরক্ষণের ব্যাবস্থা করা যেতে পারে।
iii) সংসদ আইন করে কোন রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বসবাসগত যোগ্যতাকে আবশ্যিক শর্ত হিসাবে আরোপ করতে পারে।