যুক্তিবিদ্যা অন্য নামেও পরিচিত যথা তর্কবিদ্যা, তর্কবিজ্ঞান, যুক্তিবিজ্ঞান এবং logic।
🧾Logic শব্দের উৎপত্তি:- logic কথাটি এসেছে একটি গ্রিক শব্দ logos থেকে, যার অর্থ হলো চিন্তার প্রকাশক রুপ ভাষার বিশেষ আলোচনা।
🧾চিন্তা:- চিন্তার সাধারণ অর্থ হলো সংবেদন স্মৃতি প্রত্যক্ষ অনুভূতি কল্পনা প্রভৃতি। কিন্তু শব্দটি তর্ক বিজ্ঞানসম্মত অর্থ হলো অনুমান বা বিচার করা।
🧾অনুমান:- জ্ঞাত সত্য থেকে অজ্ঞাত সত্যে উপনীত হওয়ার প্রক্রিয়া কি বলা হয় অনুমান।
🧾যুক্তি:- ভাষায় প্রকাশিত অনুমানকে চুক্তি বলা হয়।
🧾যুক্তিবাক্য:- যে বাক্য বা বচন গুলির উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত গঠন করা হয় সেই বাক্য গুলিকে যুক্তিবাক্য বলা হয়।
🧾যুক্তিবাক্যের অপর নাম:-যুক্তিবাক্যগুলিকে হেতু বাক্য বা আশ্রয় বাক্যও বলা হয়।
🧾সিদ্ধান্ত বাক্য:- কোন যুক্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্তটি বাক্যের মাধ্যমে প্রকাশ পায় তাকে সিদ্ধান্ত বলে।
🧾যুক্তি কয় প্রকার কি কি?
A) যুক্তি দুই প্রকার। যথা-
1) অবরোহ যুক্তি ও 2)আরোহ যুক্তি।
🧾অবরোহ যুক্তি(Deductive Argument):- অবরোহ শব্দের অর্থ নেমে আসা।
দুই বা ততোধিক আশ্রয় বাক্যের উপর নির্ভর করে বেশি ব্যাপক থেকে কম ব্যাপকতর সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করাই হল অবরোহ যুক্তি।
🧾আরোহ যুক্তি:- আরোহ কথার অর্থ হল উঠে আসা।
যুক্তিবাক্যের কম বা সংকীর্ণ বিষয় থেকে ব্যাপকতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করাই হল আরোহ যুক্তি।
🧾বৈধতা:- বৈধতার শব্দটি কোন যুক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়। শব্দটির অর্থ হলো একটি যুক্তি বৈধ কিনা অবৈধ রূপে গণ্য হওয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন হবে তা বোঝায়।
🧾বৈধ যুক্তি:- বৈধ শব্দটির সাধারণ অর্থ হল যথাযথ।
কোন যুক্তি যদি যথাযথভাবে নিয়ম মেনে চলে সেই যুক্তিকেই বলা হয় বৈধ যুক্তি।
🧾 অবৈধ যুক্তি:- অবৈধ শব্দটির অর্থ হলো যথাযথভাবে নিয়ম মেনে না চলা।
কোন যুক্তি যদি যুক্তির নিয়মগুলোকে ঠিকমতো মেনে না চলে তাহলে সেই যুক্তিকে অবৈধ যুক্তি বলা হয়।
🧾যুক্তির আকার:- ভাসাই উপস্থাপিত কোন যুক্তিকে যখন একটি নির্দিষ্ট সাংকেতিক আকারে হাজির করা হয় তখন তাকে যুক্তির আকার বলা হয়।
🧾পদ:- পদ হলো সেই শব্দ বা শব্দসমষ্টি যা কোন বচনের উদ্দেশ্য বিধেয় রূপে গণ্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে।
🧾সম্ভাব্য:- সম্ভাব্য শব্দটির অর্থ হলো যা নিশ্চিতভাবে সত্য নয় আবার নিশ্চিতভাবে মিথ্যাও নয় অর্থাৎ যা হতে পারে আবার মিথ্যাও হতে পারে।
🧾বিশেষ বচন:- কোন বচনের ক্ষেত্রে তার উদ্দেশ্য পদটি আংশিক পরিমাণ উল্লেখ করে তখন সেই বচন কে বিশেষ বচন বলা হয়। যেমন- I,O বচন।
🧾সামান্য বচন:- কোন বচনের ক্ষেত্রে তার উদ্দেশ্যপদটির মাধ্যমে যখন তার সার্বিক বা সমগ্র পরিমাণকে উল্লেখ করা হয়, তখন তাকে সামান্য বচন বলা হয়।
🧾বিশ্লেষণ বচন:- যে বচনের উদ্দেশ্যের ধারণাটিকে বিশ্লেষণ করলে বিধেয়ের ধারণাটি পাওয়া যায় তাকেই বলা হয় বিশ্লেষক বচন।
🧾সংশ্লেষক বচন:- যে বচনের উদ্দেশ্যের ধারণাটিকে বিশ্লেষণ করলে বিধেয়ের ধারণাটি না পেয়ে যদি নতুন কিছু পাওয়া যায় তবে তাকেই সংশ্লেষক বচন বলে।
🧾 সত্যতা:- শব্দটি বচন ও বাক্যের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত। সততার অর্থ হলো-কোন বচন সত্য অথবা মিথ্যা রূপে গণ্য হওয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন।
🧾সত্য:- শব্দটি বাক্য বা বচনের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত। কোন বাক্যের বক্তব্য বিষয় যদি বাস্তবের সাথে মিল থাকে তাকে সত্য বচন বলা হয়।
🧾মিথ্যা:- শব্দটি বাক্য ও বচনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কোন বাক্যের বক্তব্য বিষয় যদি বাস্তবের সাথে মিল না থাকে তাকে মিথ্যা বচন বলা হয়।
🧾আকারগত সত্যতা:- কোন যুক্তি বা যুক্তি আকারের মধ্যে যদি অসংগতি বা স্ববিরোধিতা না থাকে তবে সেই যুক্তিকে আকারগত সত্য যুক্তি বলা যাবে।
🧾বস্তুগত সত্যতা:- কোন যুক্তির বক্তব্য বিষয়ের সাথে যদি বাস্তবের মিল থাকে তবে বলা যায় যে যুক্তির বস্তুগত ভাবে সত্য।