ভারতে সার্বিক প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার এর একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত রয়েছে। ভারত ব্রিটিশ সরকারের কাছে হাজার 1920 সালে কংগ্রেস ভারতীয় জনগণের জন্য প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার দাবি করে। 1935 সালে ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসন আইন প্রণয়ন করে সম্পত্তি, শিক্ষা, কর দান প্রভৃতি যোগ্যতার ভিত্তিতে মুষ্টিমেয় ভারতবাসীকে ভোটাধিকার প্রদান করে। 1945 সালে সপ্রু কমিটির রিপোর্টে সার্বিক প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের স্বপক্ষে জোরালো দাবি রাখা হয়। পরবর্তীকালে ভারতের সংবিধান প্রণয়ন পরিষদ গঠন হলে সব সদস্যরাই ভারতবাসীর জন্য সার্বিক প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার এর পক্ষে সওয়াল হয়। ফলে ভারতীয় সংবিধানের 32 নম্বর ধারায় ভারতবাসীর জন্য সার্বিক প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়। সেই সময় ভোটাধিকারের জন্য নির্ধারিত বয়স সীমা ছিল একুশ বছর। 1988 সালে 61 তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে বয়স কমিয়ে 18 বছর করা হয়।
সংসদীয় গণতান্ত্রিক কাঠামোয় নির্বাচন পরিচালনার প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতীয় সংবিধানের রচয়িতাগন নির্বাচনী ব্যবস্থা গুরুত্ব উপলব্ধি করে একটি সতন্ত্র ও স্বাধীন সংস্থার উপ নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব অর্পণ করে। এই সংস্থার নাম নির্বাচন কমিশন বা ইলেকশন কমিশন। সংবিধানের 328(1) নং ধারায় নির্বাচন কমিশনের হাতে নির্বাচন পরিদর্শন, পরিচালন এবং নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment