☯️সম্পদ হিসেবে জমি:-
জমি প্রকৃতির দান এবং জমি মানুষের অপরিহার্য সম্পদ। জমির একটি ত্রিমাত্রিক প্রাকৃতিক সত্তা আছে। জমিকে প্রকৃতি ও মানুষ প্রয়োজন মত ব্যাবহার করে। স্থান ও কালের পরিবর্তনে এই দ্বিমুখী প্রয়োজনের ধরন বদলে যায়। তাই একটি গতিশীল সম্পদ। স্থায়িত্বের দৃষ্টিকোণ থেকে জমিকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা-
1। অতি স্থায়ী জমি সম্পদ: যেমন- ভূপ্রকৃতি, ভূতাত্ত্বিক গঠন।
2। মাধ্যমমানের স্থায়ী জমি সম্পদ: যেমন- মাটি, রাস্তাঘাট।
3। অপেক্ষাকৃত অস্থিতিশীল জমি সম্পদ: যেমন- কোন এলাকায় জীব বৈচিত্র ইত্যাদি। যে সমস্ত উপাদানের জন্য জমিকে সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় সেগুলি হল-
1। অবস্থানের(Situation) সাপেক্ষে জমি।
2। মুলধন (Capital) হিসাবে জমি।
3। ব্যাক্তি ও গোষ্ঠীর সম্পতি হিসেবে জমি।
4। উৎপাদনের উপাদান (factor of product) হিসেবে জমি।
5। বিবাদের উৎস হিসেবে জমি।
6। মানুষের সামগ্রিক উপলদ্ধির (perceptio) প্রেক্ষিতে জমি।
7। প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান হিসেবে জমি।
8। বাস্তুতন্ত্রের দৈশিক অবস্থা।
9। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।
10। আন্তর্জাতিক বিধিব্যবস্থা।
জমির ব্যবহারের প্রায়োগিক বৈশিষ্ট্য:-
জমির ব্যবহার সাধারণতঃ তিনভাবে কার্যকর হতে পারে। যেমন-
1। জমির প্রাকৃতিক রূপটিকে ব্যাপকভাবে রূপান্তরিত করে।
2। জমি কে বিকৃত ও অপরিকল্পিত ভাবে পরিবর্তন করে।
3। জমির প্রকৃতিদত্ত রূপটিকে যথাসম্ভব অপরিবর্তিত রেখে পরিকল্পিতভাবে ওই জমির উপযোগিতা বৃদ্ধি করে।
☯️পৃথিবীতে জমি ব্যবহারের ধরন (world land use pattern):-
পৃথিবীতে মোট জমির পরিমাণ 1308.2 কটি হেক্টর। সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের প্রায় 11% কৃষি যোগ্য জমি, 26% পশুচারণভূমি,30% বনভূমি এবং বাকি প্রায় 30% জমি রকমারি কাজ যেমন-রাস্তাঘাট, জনবসতি ইত্যাদি প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়।
📡মহাদেশগতভাবে জমির ব্যবহারের ধরন (land use by continents):-
এশিয়া:- জমির ব্যবহার পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশ গুলিতে আর্থসামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রভাবে স্বতন্ত্র চরিত্রের। এশিয়া মহাদেশ তার প্রাকৃতিক বৈচিত্রে অনন্য ও জনসংখ্যার আয়তনে সর্ববৃহৎ মহাদেশ। কিন্তু জমির ব্যবহারের কোন ক্ষেত্রেই এশিয়া সর্বশ্রেষ্ঠ মহাদেশ নয়। সমগ্র ভূমিভাগের প্রায় 17% কৃষি যোগ্য জমি, 28% পশুচারণভূমি, 19% বনভূমি এবং বাকি প্রায় 36% জনবসতি, শিল্প, পরিষেবা এবং নেতিবাচক পতিত ভূমি।
আফ্রিকা:- পৃথিবীর মধ্যে আফ্রিকা মহাদেশ কৃষিযোগ্য জমির পরিমাণ সবচেয়ে কম, মাএ 6.1%। বিপরীতভাবে অব্যবহার্য পতিত জমি এবং জনবসতি শিল্প পরিসেবার ক্ষেত্রে মোট জমির পরিমাণ পৃথিবীর মধ্যে এখানে সবচেয়ে বেশি, 40.5%, খানে পশুচারণ জমি 30.4% এবং বনভূমির ভৌগলিক ব্যাপ্তি মোট জমির 23% ।the
ইউরোপ:- সারা পৃথিবীতে কৃষিযোগ্য জমির পরিমাণ 29.2% ইউরোপের সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে অরণ্যের আয়তন ও ইউরোপে বেশি 33.3% । অন্যান্য জমির পরিমাণ মোট ভূখণ্ডের 20% এবং পশুচারণ যোগ্য জমির ব্যপ্তি 17.5% ।
উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা:- আমেরিকার জমির ব্যবহারিক ধরনটির সাথে ইউরোপের জমির ব্যবহারিক প্রাকৃতিক সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। ইউরোপের মতই উত্তর আমেরিকাতেও বনভূমির ভৌগলিক ব্যাপ্তি বিরাট 33.2% দেশের মোট ভূখণ্ডের 17% পশুচারণ এর কাজে ব্যবহার করা হয়।
কৃষি কাজের জন্য বরাদ্দ রয়েছে 12.7% জমি এবং অবশিষ্ট 37.1% জমি নাগরিক পরিষেবা ইত্যাদি নানা কাজে ব্যবহার করা হয়
দক্ষিণ আমেরিকার অরন্যের পরিসর সর্বাধিক। দেশের 47.1% জমিতে রয়েছে বনভূমি। পশুচারণ ভূমির পরিমাণ 28.2% । কৃষির জন্য রয়েছে মাত্র 6.6% জমি এবং অন্যান্য বিভিন্ন কাজে 18.1% ।
ওশিয়ানিয়া:- ওশিয়ানিয়াতে পশুচারণভূমির প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়50.9%। বনভূমির বিস্তার 18.6% জমিতে কৃষিকাজের জন্য জমির আয়তন মাত্র 5.8% এবং অবশিষ্ট 24.7% জমির কিছু অংশে রয়েছে পতিত জমি ও ভূখণ্ডে শিল্পপতি সেবামূলক কাজ ও জনবসতি গড়ে উঠেছে।
📡 উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলিতে জমি ব্যবহারের ধরন:-
দেশ কৃষি যোগ্য জমি পশুচারণভূমি বনভূমি অন্যান্য জমি লক্ষ হেক্টর উন্নত দেশ উন্নত দেশ পৃথিবী
¶¶অনুসারে পৃথিবীর কয়েকটি দেশে জমির ব্যবহার ও পার্থক্য
দেশ কিছু যোগ্য জমি বনভূমি রেলপথের ঘনত্ব রাস্তার ঘনত্ব ভারত.
📡 উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলিতে জমি ব্যবহারের ধরন:-
দেশ |
কৃষি যোগ্য জমি |
পশুচারণভূমি |
বনভূমি |
অন্যান্য জমি |
লক্ষ হেক্টর |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
No comments:
Post a Comment